নারী দিবসে গণধর্ষিতা
আজ ৮ই মে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। রুমকিদের ইস্কুলে আজ ডিবেট প্রতিযোগিতা। বিষয়, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী নির্যাতন অব্যাহত “। রুমকি ডিবেটে অংশ নিয়েছে।
মা বললেন, আজকে ডিবেট প্রতিযোগিতা, একটু প্রস্তুতি তো নিতে দেখছি না। একটু বাদেই তো অনুষ্ঠান শুরু।
রুমকি বলে – ছাড়ো তো! কিসের প্রস্তুতি! সব পারবো। ঐ যে স্কুলে যেতে পার্কের কাছে বকাটে ছেলেগুলো পিছনে লাগে সেসব বলবো।ছোটকা কাকীমা’কে কেবল মারে, আমার বন্ধু শান্তার মা মরে গেলে ওর বাবা মামার বাড়ি দিয়ে আসে। সেখানে মামী ওকে খাটায়, মারে। মামীর ভাই এসে বিরক্ত করে, বলে বিয়ে করবে।সব গুছিয়ে বলবো।
মা বলেন, পার্কের ছেলেগুলো তোকে বিরক্ত করে আগে বলিসনি তো? তাহলে তোর তো আজ ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে – আমি আনতে যাবো।
রুমকি বলে, এখন আর কিছু করেনা গো। ও পাড়ার বিসু’দা ওদের শাসিয়েছে।
আ রে সময় তো হয়ে গেলো! বলেই রুমকি স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে বেরিয়ে গেল।
সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও মেয়ে ফিরছে না দেখে মায়ের দুশ্চিন্তা হয়। মেয়েকে আনতে স্কুলের পথে রওনা হয়। পার্ক ছাড়িয়ে একটু এগোতেই রাস্তার পাশে বাঁশগাছের ঝোপে গোঙানির আওয়াজ শুনে তাড়াতাড়ি কাছে গিয়ে দেখে রুমকি পড়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর, মুখে কালশিট, পাশে পড়ে প্রাইজ।
মা’কে দেখে রুমকি শুধু এটুকু বলে নিথর হলো, “হেরে গেলাম মা! মুখ চেপে টেনে আনলো ওরা!
পারলাম না নিজেকে বাঁচাতে। আজ নারী দিবসে আমি গণধর্ষিতা”।