তুমি এক হাত দূরে বললে আমি শত হাত দূরে সরতেও রাজি,
সে নিয়ে কোনো অস্বস্তির কারণ হবো না,বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।
কথা রেখেছি,কথা রাখতে আমি জানি এই নিয়ে ছিল না কোনো সন্দেহের অবকাশ।
একনিষ্ঠ হয়ে বরং থাকতে চাওয়া আমি আপ্রান চেষ্টা করে গেছি নিজেকে মানিয়ে নিতে,
যন্ত্রের আদলে মনকে তৈরি রাখতে ওকে আস্থা যুগিয়ে শিখিয়েছি,
ভালোবাসা দু কদম এগিয়ে আসে যদি চার কদম এগিয়ে তাকে সমৃদ্ধ করতে উর্বর মাটির যোগানে।
বিরক্ত হচ্ছ ম্যাসেজের ভারে জেনেও নিজেকে চটজলদি সরিয়ে নেওয়া সত্যি চাপের ছিল বিড়ম্বনায় ফেলছি বুঝেও।
এক এক আলোঝলমল সু সম্পর্কের পরিমণ্ডল ছেড়ে চটজলদি থমকে যাওয়া বড্ড চাপের,নিজের সঙ্গে এ এক বোঝাপড়ার সংঘাত।
তবু তোমার বিদ্রোহ ঘোষনায় একটু একটু করে নিজেকে কুমোরের মৃৎ শিল্পের মাটির মতো,
এক এক রূপ দিয়ে স্থবির হওয়া কষ্টের ছিল,
কি করে সম্ভব এতদিন গা ঘেঁষে তুমি গন্ধে বুকে আলোড়ন তুলে,
আড়ালে আঙুল ছোঁয়ার আফিমের নেশায় মগ্ন থেকে হঠাৎ এক লহমায় নিজেকে তোমার থেকে নির্বাসন!
“তবু দেখা তো হবেই,এই দেখা শেষ নয়”ভাবনায় আশ্বস্ত করলেও তোমায় বলেছি,
ক্ষতি কি নাই বা দেখা হলো, দুর থেকে দেখা না হলেও অসুবিধা নেই ,
কারণ এই আমি’টার মনের উর্বর মৃত্তিকায় প্রিয় তুমির রেশ আজও অটুট,অবাধ যাতায়াতে অভ্যস্ত।