মা, পৌষ-চাঁদ-ও কুয়াশা-জড়ানো সন্ধ্যারাত্রে, শাদা-দুধ সোনা-চাল
মিশিয়ে দু-মুখো চুলায় রান্না করছিলেন পায়েশ; চুলোর ভেতরে
আমকাঠের টুকরো লাল মাণিক্যের মুখের মতোন জ্বলছিলো।
সেই আমার প্রথম রঙিন ক্ষুধার উদগম
মায়ের পাশেই বসে
সারাসন্ধ্যা ধর্ষণ করলাম একটা লাল আগুনের টুকরোকে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সাত দিন পর দেখলাম পদ্মার পশ্চিম পারে নারকেল
গাছের আড়ালে সূর্যাস্ত খুলছে তার রঙিন কাতান।
সূর্যাস্ত, আমার মেরিলিন, জাগালো আমাকে
টেনে এনে তাকে নারকেল গাছের আড়ালে আসন্ধ্যা ধর্ষণ করলাম,
পদ্মার পশ্চিম প্রান্ত রক্তে ভেসে গেলো।
অনার্স পড়ার কালে কলাভনের সম্মুখ থেকে আমার অধরা বাল্যপ্রেমিকার
মতো ছুটে-যাওয়া একটা হলদে গাড়িকে ষাট মাইল বেগে ছুটে
পাঁচ মাইলব্যাপী ধর্ষণ করলাম।
একাত্তরে পাকিস্তান নামী এক নষ্ট তরুণী আমাকে দেখালো তার
বাইশ বছরের তাজা দেহ, পাকা ফল, মারাত্মক জংঘা
চৌরাস্তায় রিকশা থেকে টেনে প্রকাশ্যেই ধর্ষণ করলাম;
বিকট চিৎকারে তার দেহ রক্তাক্ত ও দুই টুকরো হয়ে গেলো।