ধর্মের নামে ওড়ে অধর্মের ধ্বজা,সময়ের সাথে পাবে এরাও সাজা
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অধর্মের জয়ডঙ্কাই তো বেজে চলেছে। অধর্মের ডামাডোলে ধর্ম এককোনে দাঁড়িয়ে হাঁসফাঁস করছে মুক্তির আশায়। যেদিকেই চোখ ফেরানো যায় , শুধুই মিথ্যের বেসাতি, অধর্মের একচ্ছত্র রাজপাট। মিথ্যের বাজারে সত্য মুখ ঢাকে দুস্তর বেদনা ও লজ্জায়। চারপাশের চালচিত্র জুড়ে শকুনির পাশাখেলা। সাধারন মানুষেরা খাবি খায় অসাধু ,দুর্নীতিবাজদের ছলাকলায়। মানুষ কেবল নামেই মানুষ,বিবেক,বোধের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিব্যি অধর্মের কারবারে ছাতি ফুলিয়ে হাঁটছে।অধার্মিকরা সাধুর ভেক ধরে লোভের চাটুতে নগদনারায়ণকে সেঁকে নিচ্ছে। মানুষ এখন কেউ কারো ভালো চায় না। আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবাপন্ন হয়ে পড়ছে।তাই অবলীলায় অধর্মের চাদর মুড়ে ধর্মের তিলক এঁকে চলেছে। লকলকে লোভের জিভ গ্রাস করে নিচ্ছে সুমানসিক চিন্তাভাবনাগুলি ও শুভবুদ্ধিকে। ধর্মের নামে ওড়ে অধর্মের ধ্বজা কথাটা কিন্তু বাস্তব সত্য।এনিয়ে কতো কতো কাহিনীও রচিত হয়েছে।রামায়ণ,মহাভারত পড়ে মানুষ ন্যায়-অন্যায় বিচার করতে শিখেছে।ধর্ম-অধর্মের পার্থক্য বুঝতে শিখেছে। তথাপি,ভালোর পাশে লেজুর হয়ে অধার্মিক মানুষের রমরমাও নেহাৎ কম নয়।
সেকালেও যেমন ধর্মের নামে অধর্মের ধ্বজা ওড়েছে, মানুষ রীতিমতো লড়াই করেই ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। আর, আজকের যুগে যদিও মানুষের এতো সময় নেই যে তূল্যমূল্য বিচার করে এগোবে। মানুষ ছুটছে হাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে আপন আপন স্বার্থের জন্য। অতীতের পাতা খুললেই দেখা যাবে ,মানুষ তখন সত্যের পূজারী ছিলো ।ধর্মের অনুরাগী ও অনুসারি ছিলো। তাই,নিজেকে সর্ববিদ অসংযমী ,অসত্য থেকে দূরে রাখতেই সচেষ্ট। ধর্মকে একপ্রকার বগলদাবা করেই ওরা অধর্মের ধ্বজা ওড়াচ্ছে। কিন্তু ,সব কথার শেষেও যেমন কথারা ঘাপটি মেরে বসে আছে ,তেমনি অধর্মের ল্যাবেল ও ধর্মের নামে জুড়ে আছে। তাই,ধর্ষন, ইলোপ,শিশুপাচার হয়ে চলেছে। আসল কথা হলো,অনেক ধার্মিক সাধুরা আজকাল ধর্মের ভেকে অধর্মের পূজারী হচ্ছে। যাঁরা প্রকৃত ভাবেই সত্যের উপাসক ,তারা কিন্তু এসবের থেকে তফাতেই থাকেন। আজকাল ধর্মের ডঙ্কা বাজিয়ে অধর্মের বেসাতি ফেঁদে চলেছে একশ্রেণীর মানুষ।পীরের মাদুলি, অত্যাশ্চার্য্য পাথর,তুকতাক কতো কি যে ব্যবসা ! ধর্মের নামে অধর্মের ধ্বজা,যতোই উড়ুক না কেন শেষমেষ কিন্তু জয় হয় অবধারিত ভাবে ধর্মের।