দেখেছ ঐ অন্ধকার গলিটা
যেই গলিতে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু মেয়ে
চেনো কি ওদের জানো কি পরিচয়
ওদের নাম হলো দেহোপজীবিনী।
মানুষের আদিম রিপু মেটাতে ওরা সদা তৎপর
মুখে রুজ লিপষ্টিক মেখে দাঁড়িয়ে আছে
ইশারায় ওরা কথা কয়, উত্তেজক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখায়
গ্রাহক পেতে ওরা তৎপর, জানে ওরা ছলনার আশ্রয়।
শীত গ্রীষ্ম শরৎ ওরা গায়ে মাখেনা
শুধু পুরুষের পাশবিকতার চিহ্ন ওদের গায়ে।
ওদের নেই কোন সংসার, কিন্তু আছে সন্তান!
আছে পুরুষের লোলুপতার নিদর্শনের চিহ্ন
যাদের নামের পেছনে জোটে উপাধি বেশ্যার সন্তান।
কে দেবে এদের স্বীকৃতি, কে দেবে অধিকার ?
সমাজ সংসার সবাই ব্যাস্ত নিজের মুখ লুকাতে,
তখন এদের ভবিষ্যৎ কজনই বা ভাবে।
কিছু তো আসে শারীরিক খিদে মেটাতে
কেউ কেউ আসে সংসার জীবন বাঁচাতে।
দালালচক্র আছে সারা দেশটি জুড়ে
প্রলোভনের শিকার করে, তুলে আনে মেয়েদেরকে
মাসির হাতে তুলে দিয়ে বখরা তুলে আনে
বিশ্ব জুড়ে আছে এমন অসংখ্য পতিতালয়।
সমাজপতি, নেতারা সবাই বড় বুকনি ঝাড়ে
এরা নাকি কখনো যায়না বেশ্যালয়ে
এদের উন্নয়নের তরে সবার হৃদয় ফাটে।
রাতের বেলা এরাই আবার ঘরে ঘরে সিঁদ কাটে
পাশবিকতার নিদর্শন গর্ভে ছেড়ে আসে।।