আমি কোনো প্রতিযোগিতায়নামতে চাইনি কোনো দিন কাজল বা লিপস্টিকেওকোনো নেশা

আরো কাছে এসোআরো অনেক অনেক কাছে যতটা কাছে আসলেতীব্র নেশার

কিভাবে একটা দিনের শুরু হয়তা দেখতে গিয়ে-আমি একটা আলোক শিশু

তোমাকে জানবার ইচ্ছে টাদিন বে-দিন বেড়েই চলেছে অথচতোমার রোগটা আমার

শুকনো ঠোঁট দেখে কি বোঝোনা?অজস্র জন্ম ধরে শেকড়ে জল পড়েনিরোদ

দিন গুলো গুছিয়ে ভাঁজ করে রাখিমন-আলমারি তেনীল গোলাপি লাল সবুজহলুদ

বাবারাআকাশের মতো হয় আমরা নরম ডানা মেলে দিনের শুরু করি

অমিলদেওয়ালরক্তযুদ্ধবহু পথপার হয়ে সন্ধ্যা নেমে আসেএকমাথা এলোমেলোকালো চুল নিয়ে হাত

জানালার চোখ খোলা থাকলে যেটুকু দৃশ্যসেটাই জীবনতাছাড়াবাকি যেসব নানা আকারের

শুধু তোমায় আঁকব বলেঅজস্র জন্ম বেঁচে থাকতে চাই। অন্য কিছুর

তোমার দিকে তাকালেআমার নিভে যাওয়া প্রদীপ জ্বলে ওঠে গলার কাছে

আজকে চাঁদ পাহাড় মাখে খুব,জড়িয়ে দেয় গভীর চাদর ঘুম।পাতায় পাতায়

ভালো নেই মন, অকারণ….বাতাসে সুর ভাসা বারণ,আলো আসেনা যে ঘরে,তবুও

পৃথিবীর প্রথম বৃক্ষ তুমিআমি পাখি জন্ম চাইলাম কিছু আনন্দ যোগ

এখন শুধুই মিথ্যে চাঁদআদর লুটায়ঘুম আসে বুক জুড়ে গুমোট ঘরশুধু

আমার অসুখ করলেডাক্তার ডেকে ওই বিষ গুলো খাইয়ো নাবরংমুখে আকাশ

ইঁটের উপর ইঁটের দেহপ্রান করে আনচানরাধাচূড়া কৃষ্ণচূড়ারআঁকব এবার গান সরিয়ে

শহর যখন ঘুমিয়ে থাকেনীলচে চাদর মুড়েআমি তখন জেগে উঠিবেড়ায় ঘাসে

আমাদের কথা পড়ে আছে ঢেরতুলে আনা হয়নি সময়ের বুক চিরেপড়ে

ছন্দ আমার হারিয়ে গেছেখুঁজে না পাই আজচাঁদের উপর নরম হিয়াবাইরে

মেহেগিনির শরীর জুড়েযৌবন ফুটেছেপ্রজাপ্রতি হয়ে বারবার ছুটে যায় ভাঙাচোরা দিনগুলোসেলাই

শহর ঘুমিয়েছ বুঝি? মাথার উপরএক ঝাঁক জোনাকি নিয়ে আমি জেগে

মনের মহামারী গুলো মেরে ফেলতেতুমি শিখিয়েছ বইয়ের প্রতি পাতায় –একেকটা

তোর চোখে তুমুল খিদেঅথচঠিকঠাক কবিতার জন্ম দিতে পারছি কৈতোর শরীরে

তুমি দেখতে পাওনা বুঝিকিভাবে শুকিয়ে যাচ্ছি পল পলধূলোয় ধূলোয় ঢেকে

আজ অনেক কটা পাতা ছিঁড়ে ফেলেছিতোমায় নতুন করে দেখবপড়বজানবভালোবাসব এই

আমাদের মধ‍্যে সবুজ বাতাস হেঁটে যায় নাপুষ্ট হচ্ছে একটা গুমোট

ও মেয়ে কেমন আছিস? নতুন করে জন্ম নিক চাঁদ তোর

একটা ভীষন সত্যি কথা বলেছিপ্রিয় ডালিম গাছটার কানে কানে-‘এখন আর

আমাদের আকাশ নেইআছে শুধুঅন্ধকারের দেওয়াল শুনেছি ওপারেখেলা করে আলো খেলা

আমার পেন্সিলে অন্ধকার লেগেছেঅথচছবি আঁকতে চাইতোমার রঙ প্রিয় জানিকিন্তু এ

আমার সব আলো গুলোএকে একে এলিয়ে পড়ছে ছায়ায়শব্দ-বিরহে ভুগছি ভীষনমন

আমরা আমাদের ফুলগুলোর স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিশুধু বুকের উপর জড়িয়ে রেখেছি

হলুদ পাতাগুলো ঝড়িয়ে দিইমায়া না করেইসবুজ আনবার আনন্দেনিজেকে জাগিয়ে রাখি

সেই মানুষটাসারাদিন ইঁট ভাটায় কাজ করেকাজ করে ক্ষেতেপাহাড় কেটে রাস্তা

কে বলে মানুষ বই পড়েনা?আমি তো দেখেছি সবাইকেইজীবন্ত বই পড়তে

শব্দের গা থেকেসহস্র সূর্যের উদয় না হওয়া পযর্ন্তপ্রতিটা ধারলো অন্ধকারকেপা

কার জন‍্য সাজিয়ে রেখেছএতো নিখুঁত অন্ধকারএতো আগুন যন্ত্রণাকিসের আশায়এতো অবহেলার

অবসাদ নিভলে জন্ম নেয় সুখ এখন চা কাপের প্রেমে পড়াটাইদরকারি

মাটির হৃদয় পুড়িয়ে পুড়িয়েলাল এখনদেখ ধকধক করছে তোমার চোখে কৃষ্ণচূড়াঅন‍্যের