নিঃসঙ্গ পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে
পাথুরে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে নির্ঝর
ঝর্ণা আঁকতে আঁকতে এক সময়
নিপাট অন্ধের মতো মনে মনে দূরে কাছে
জানা অজানা সব পাহাড় ডিঙোই
পাহাড়ী গাছগাছালির উদোম হাওয়া
আর পাতার মর্মর গায়ে মেখে যখন
অতিক্রম করতে থাকি ফিরে আসা পথ
কুড়িয়ে নিই যত মর্মর,সবুজ আর রোমাঞ্চ
আর গাছেদের অন্তরঙ্গ জীবনের পাতা
ভর্তি অন্তহীন গান
ধীর পায়ে এভাবেই ফিরে আসি নিজের কাছে
পাহাড়ের নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে প্রকৃতির নীরব স্পর্শ নিয়ে
উদোম হাওয়া – বাতাসে ঘুরপাক খেতে খেতে
আরও একবার এই পাহাড় ডিঙোনোর কথা ভাবতে ভাবতে যখন
কবিতার পঙক্তি বেয়ে নেমে আসি নীচে
আমার না লেখা কবিতার শব্দরা আমার
একেবারে সামনে এসে দাঁড়ায়
আমার চোখে চোখ রেখে মায়া চোখে
টলোমলো পায়ে ছুটে যায় সটান
আমার অগোছালো লেখার টেবিলে
অতঃপর নতুন এক কবিতার কথা ভাবতে ভাবতে
ঘরের ভেতর অদৃশ্য হাওয়ায় উড়তে থাকি
একঝাঁক শব্দ ও আমি
ছড়িয়ে থাকে দূরে কাছে
শুধুই মর্মর….. ।