ভোরবেলাকার রোদ, পর্যটক মেঘ, বাগানের
রঙবেরঙের ফুল, তোমার ধূসর ম্যাক্সি বেয়ে-ওঠা কালো
পিঁপড়েটা তোমাকে মাঝে মাঝে কী বলার
আগ্রহে উঠত মেতে? উহাদের মাতৃভাষা তোমার বোধের
অন্তর্গত ছিল বলে দিগন্তের ওপারের রেখা সমুদয়
তোমার নিকটে এসে নিমেষেই হয়ে যেত ক্রীড়াপরায়ণ।
কোন্ রঙ, কোন্ রেখা খেলা করছিল
সে-রাতে তোমার ভাবনায়, জানত না কেউ, কেউ
জানবে না কোনওদিন, হয়তো নিজেও তুমি স্থির
জানতে না। রঙের, রেখার
অচিন অস্পষ্ট খেলা অবচেতনের
কুয়াশায় চলছিল তোমারই অজ্ঞাতসারে; বুঝি
সতেজ জীবনকেই আখেরে জিতিয়ে
দিতে চেয়ে বারবার ভেঙেছ কখনও
আপন সত্তাকে
কোনও নির্বাচিত রঙে, কখনওবা অচেনা রেখায়!
খেলায় নিশ্চিত পরাজয় জেনেছ, তবুও
অধরে ফুটিয়ে শত হাসির কুসুম চেলে গেই ঘুঁটি ছকে
ক্রূর ছায়াটির মুখোমুখি বসে তুমি দীপান্বিতা ক্যানভাসে
তোমার উজ্জ্বল রঙ আর রেখায় জীবন হেসে
উঠেছিল সুনিশ্চিত, অথচ সে হাসির রোদ্দুর
ঢাকা পড়ে যায় মেঘ, বয়ে যায় হিমেল নিঃশ্বাস। নিরন্তর
হে মরণ, তুমি কি নিজেই তীব্র শিল্প হতে চেয়ে
শিল্পীকে হরণ করো দ্বৈরথে আহ্বান করে তাকে?