রাতের দরবারে জীবনকে হাজিরা দিতে হয় রোজ,
মন বাঁধা থাকে গার্হস্থ্য চৌকাঠে,
ঝাঁ চকচকে নিওন আলো পড়ে নেয় আপাদমস্তক,
অপ্রস্তুত দাঁড়িয়ে থাকি-
এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে আঁধার খুঁজি সন্তর্পনে।
শিরদাঁড়া যেন কুঁচকে থাকে নিরন্তর,
দায়গ্রস্ত পিতার মতো উঠানামা করে হিম রক্তস্রোত,
অসংলগ্ন কথাবার্তা স্বীয় ক্ষমতার ঔদ্ধত্যে হাতে মারণাস্ত্র,
রাজপথ দিয়ে ছুটে চলে বেলাগাম যানবাহন,
রক্ষক এবং ভক্ষকের মাঝে চলে প্রকাশ্য সমঝোতা।
অবরুদ্ধ হয়ে আসে শিরা উপশিরা,
ত্রাসের ধমনী জুড়ে চলছে বাঘবন্দী খেলা,
কড়িকাঠ ডেকে চলে, আয় ফিরে আয়-
সন্তান সন্ততি জেগে থাকে ভয়ার্ত বিস্ফারিত চোখে,
শোধবোধের জন্ম ঋণে অদৃষ্ট লিখে চলে অদৃশ্য দিনলিপি……