Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » দিদিমাসির জিন || Bani Basu » Page 6

দিদিমাসির জিন || Bani Basu

রাংতা বলল—বড্ড বিড়ির গন্ধ, যাই বল তীর্ণা।

—আমি শুধু শুধু কিছু বলতে যাবো কেন?

শালগাছের তলায় ছেড়া চটের শামিয়ানা দিয়ে একটা আসর। যথেষ্ট লোক জমায়েত হয়েছে। এইখানে ওদের বসিয়ে দিয়েছে ছেলেগুলো। অশোক সাঁতরা বলল—বেস্ট, অবশ্য বেস্ট বলে এখানে কিছু নেই। একেক জায়গায় একেক রকম রস পাবেন। স্টিল্‌ল্‌—আপনারা যখন প্রথম, তখন বিশুদ্ধ বাউলাঙ্গ গানের জন্য এখানেই অপেক্ষা করা ভালো। ঠেলেঠুলে সামনে এগিয়ে যান, আরও সামনে। তা ঠেলতে ঠেলতে দ্বিতীয় সারিতে এসে বসেছে দুই মেয়ে। আজ শাড়ি পড়লে কোনও অসুবিধে ছিল না, কিন্তু তীর্ণার ইতিমধ্যেই শাড়ির ওপর কেমন একটা বিতৃষ্ণা এসে গেছে। সে রাংতা দুজনেই দুটো রঙচঙে সালোয়ার কামিজ পরেছে। সস্তা দামে এ.সি. মার্কেট থেকে কিনেছিল রাংতা, তীর্ণা বোধহয় নর্থের কোনও দোকান থেকে করিয়েছিল। যাই হোক এই রঙচঙে ঢোলা সালোয়ার কুতা পরে ওদের আরও বাচ্চা লাগছে। রাংতার চুল তো একেবারে বয়ছাঁট। আর তীর্ণার হল, ওই মা যাকে বলে আলুথালু, অর্থাৎ স্টেপকাট। এখন রাংতার সঙ্গে তীর্ণার বেশ ভাব হয়ে গেছে। রাংতাকে এ দলে জুটিয়েছে গোপাল। না কি ওর প্রতিবেশী। কিন্তু গোপাল যে পাড়ায় থাকে, সেখান থেকে ঠিক রাংতার মতো মেয়ে বেরোয় না বলে তীর্ণার ধারণা। তার ওপর সে নাকি ছুটি-ছাটায় সিঙ্গাপুর-হংকং-এ মার্কেটিং করতে যায়। এই ধরনের মেয়েরা একটু উন্নাসিক, একটু চালবাজ, কিংবা ন্যাকা হয়ে থাকে বলে তীর্ণার ধারণা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রাংতা এর কোনওটাই নয়। সে একবারও সিঙ্গাপুর-হংকং-এর উল্লেখ করল না। নিজের বাবা-মা, গাড়ি, লোকজন এসবের সম্পর্কেও কোনও আলোচনায় সে যেতে চায় না। এই আসরে ঢুকেই সে রোমাঞ্চিত কণ্ঠে তীর্ণাকে বলেছিল—এখন কটা বাজে জানিস?

—কটা?

—মিড নাইট।

—তাইই—তীর্ণার চোখ গোল। মনেই হচ্ছে না, এত বেজে গেছে।

—আসরটা একেবারে টিপিক্যাল, বল?

—কিসের টিপিক্যাল?

—মানে এক্কেবারে জেনুইন, এথনিক, ঠিক যেন মনে হচ্ছে ভারতবর্ষের, না, না বাংলার বুকের মধ্যে এসে বসেছি।

—তা তাই-ই তো বসেছিস!— তীর্ণা বলল।

আসরের ওদিকে একটি আধা মোটাসোটা স্ত্রীলোক চা তৈরী করছিল। সি.টি.সি পাতার বিশ্রী গন্ধ-অলা চা।

আর, একটি পুরুষ, গায়ে সামান্য একটা ফতুয়া এবং নস্যি রঙের চাদর, সে হাঁটুর ওপর হাঁটু চাপিয়ে বসে একজনের সঙ্গে কথা বলছিল।

—কে যেন বলল—ওই তো অনুকূল দাস।

তীর্ণারা শুনেছিল অনুকূল দাস খুব বড় বাউল। এই লোকটির গালে একদিনের খোঁচা খোঁচা কাঁচাপাকা দাড়ি। মাথায় অনেক চুল। মুখটা ভাঙাচোরা, বিড়িখোর বিড়িখোর গড়ন। সে বলল—বাব্‌বা এ-ই গাইবে না কি?

পেছন থেকে কে মৃদুস্বরে বলল—‘শুধু গাইবে নয়, নাচবেও’—ওরা মুখ ফিরিয়ে দেখল অশোক সাঁতরা।

স্ত্রীলোকটি এই সময়ে তার নিজের লোকেদের মধ্যে চা বণ্টন করতে করতে আসরের উদ্দেশে হাঁক পেড়ে বলল—আপনারা কেউ চা-সেবা করবেন নাকি গ?

তার কস্তাপেড়ে শাড়ির ঘোমটা এখন খুলে গেছে। মুখটি বেশ গোলগাল। গোলা সিঁদুরের টিপ পরেছিল বোধহয়, সেটা বেশ ধেবড়েছে। হাতে মাঝারি সাইজের কেটলি, তার তলাটা হনুমানের মুখের মতন। আসরের লোকেরা গান শুনতে এসেছে, চা খেতে আসেনি। তাছাড়া ওই মাঝারি কেটলি থেকে যে বাউলনী ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া জাতীয় কোনও ম্যাজিক দেখাবে, তা-ও সম্ভব না। তবু কয়েকজন চেয়ে চেয়ে খেল।

সাঁতরা বলল—একেই বলে টসটসে ঢলঢলে চেহারা। অনুকূল দাস একে দেখছি এ বছরই জোগাড় করেছে।

রাংতা বলে উঠল—অশ্লীল কথা বলতে হলে আমাদের কাছ থেকে উঠে যান। —তার স্বর বেশ কঠোর।

—যা ব্বাবা অশ্লীল কথা আবার কোথায় বললুম! তখন জয়দেব কোট করলুম আপত্তি করলেন না আর…

—সেটা ছিল সংস্কৃত, সবটা বোঝা যায় না, আর এখন যা বলছেন, তা হল কাঁচা বাংলা।

রাংতার স্মার্টনেস এবং শব্দসম্পদে তীর্ণা রীতিমতো অবাক হয়ে যায়।

—আচ্ছা ‘বাংলার বধূ বুকভরা মধু’ বললে আপনাদের অশ্লীল লাগে না?

—না—রাংতা জোর গলায় বললে।

—সুখে ঢলোঢলো, উদাস বিভল—বললে?

—না—

—এগুলো পাকা বাংলা, না?

—আচ্ছা, তু চীজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত বললে?

ভীষণ রেগে তীর্ণা বলল—আপনি চুপ করবেন?

এই সময়ে অনুকূল দাসের চা-পান এবং বিড়ি-পান শেষ হয়েছে মনে হল, সে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে তার গাবগুবাব না কী যেন যন্ত্রটা তুলে নিল, তার পর বাজনা বাজাতে বাজাতে নিচু হয়ে একপাক ঘুরে নিয়ে, ঊর্ধ্বমুখ করে তার দীর্ঘ চুলে একটা মোক্ষম ঝাঁকানি দিয়ে ও-ও-ও বলে ক্রম ঊর্ধ্বায়মান একটি পূর্ণদাসী সুর ছাড়ল। একটু পরে প্রায় দু সপ্তক নিচে নেমে ধরল—

পড়েছি বড়ই মুশকিলে—এ—এ

চড়ার দাম আর দামের চড়া, খাচ্ছে তিমি তিমিঙ্গিলে-এ

পড়েছি ভাই,

পড়েছি ভাই বড্ড মুশকিলে।

মুশকিলে পড়ে বাউল ঘুরতে থাকে। ইতিমধ্যে টসটসে চেহারার বাউলনী গাছকোমর বেঁধে নিয়েছে। সামনে পেছনে কয়েকবার ছন্দে পা ফেলে সে বোধহয় তাল মিলিয়ে নিল তারপর অপ্রত্যাশিত রকম চড়া এবং জোরালো প্রায় বাজখাঁই গলায় ধরল :

আসমান জমিন জমিন আসমান

কে করবিরে মুশকিল আসান

(বলে) ফাটকা খেলে আটকা করো চড়া দামের উকিলে

(পড়েছি) বড়ই মুশকিলে।

তীর্ণা অবাক হয়ে গেল। মেয়েটিকে একেবারে সাধারণ গ্রামবধূ বলে মনে হয়, তার গলায় ওই রকম শাঁখের মতো আওয়াজ আর এতটুকুও আত্মসচেতনতাহীন ঘোরাফেরা। অদ্ভুত গান, ঈষৎ ভারী শরীরে নাচ … লোকটিই বা কী! রাস্তার ধারে ইট পেতে বসা নাপিতের মতো দেখতে। যখন নাচছে! তীর্ণা সত্যিই ভুলে গিয়েছিল, সে গঙ্গাপ্রসাদ-কাজলরেখার মেয়ে, অনীক মিত্তিরের বোন তীর্ণা মিত্তির। এবং সে একটি অজ পাড়াগাঁয়ের বিড়ির গন্ধ-অলা গানের আসরে গন্ধগোকুল সব গ্রামবাসীদের সঙ্গে একটি দুদিনের চেনা মেয়ের সঙ্গে বসে আছে, যাকে সে এক দিন আগেও পছন্দ করতে পারছিল না, এবং পেছনে অশ্লীল কথার ঝুড়ি নিয়ে হুমো দিয়ে আছে অশোক সাঁতরা নামে রিপোর্টার না ফটোগ্রাফার!

শেষ রাতে বাউল-বাউলনী আর একবার চা-বিরতি দিলে ওদের খেয়াল হল, সম্ভবত শখানেক অচেনা গ্রামজনের মধ্যে ওরা মাত্রই দুটি মেয়ে বসে আছে। ওদের দলের অন্যরা, অর্থাৎ যশ, গোপাল বা অনীক তো নেই-ই, অশোক সাঁতরা কখন কেটে পড়েছে!

রাংতা বলল—এই তীর্ণা কটা বাজে জানিস?

—জানি। সাড়ে তিনটে বাজতে পাঁচ মিনিট।

—তোর কাছে টর্চ আছে?

—আছে।

—আমার কিন্তু ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। এই আসরে ঘুমিয়ে পড়লে সেটা কীরকম হবে বল তো! বিশ্রী না?

—খুব অকোয়ার্ড। বিশেষ করে আমার পক্ষে।

—চল, আমরা ঘরে যাই।

—কিন্তু চিনে যেতে পারবো?

—সেই জন্যেই তো টর্চের কথা জিজ্ঞেস করছি।

—টর্চের আলোয় পথ দেখতে পেতে পারি, কিন্তু ঘরটা চেনা…

—আমি খড়ির দাগ দিয়ে রেখেছি, চল।

—খড়ির দাগ? আলিবাবার গল্প না কি রে? তীর্ণা অবাক হয়ে উঠে দাঁড়াল। তার পায়ে অসম্ভব ঝিঁঝি ধরেছে, রাংতা না ধরলে সে পড়ে যেত।

কিন্তু কার্যকালে দেখা গেল রাংতার খড়ির দাগ বিশেষ কাজে লাগছে না। গল্পটা সত্যিই আলিবাবার গল্প। প্রথম যে ঘরটাতে ওরা খড়ির দাগ দেখে ধাক্কা দিল তার ভেতর থেকে নেশাজড়িত কণ্ঠে ভেসে এলো— কে বাবা, এতো রাত্তিরে গুঁতোগুঁতি করছো! সবকটি গো-জাতীয়ই তো গোষ্ঠে ঢুকেছে, তবে তুমি কি ভিন গোয়ালের গরু?

রাংতা সভয়ে বলল—এটা আমাদের নয়, আমাদের নয়।

ওরা ভালো ঘর পায়নি। পেয়েছিল একটি মাটির ঘর। ওপরে খড়ের চাল, এবং মেঝেতে কিছু খড় বিছোনো, খড়ের ভেতরে বিছে থাকতে পারে এই ভয়ে তীর্ণা এমন কাতর হয় যে, ঘর ভাড়া দেনেঅলা মালিক খড়গুলো তুলে নেয়। বলে ‘মাঝরাতে ট্যার পাবেন।’ ঘরটা এতই ছোট যে পাশাপাশি আটিশুঁটি করে শুলেও পাঁচজনের জায়গা হওয়া সম্ভব নয়। এ কথা জানাতে ঘর ভাড়া দেনেঅলা বলে—‘মেয়েগুলা কলে নিয়ে শুবেন!’

এই অশ্লীল কথার পর তারা আর কথা বাড়ায়নি। যশ বলে, তারা তো আর ঘুমোতে মেলায় আসেনি। মেয়েরা প্রয়োজন হলে ঘরটাকে ঘুমোবার জন্যে ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া ঘরটা আসলে হবে ওদের ক্লোকরুম। আরও কিছুক্ষণ অন্ধের মতো ঘোরবার পর ওরা ঘর খুঁজে পেল। তালা দেওয়া। চাবি খুলে দেখল ভেতরে কাপড়ের ব্যাগগুলো ডাঁই করা আছে। গোপালের ব্যাগ থেকে একটা গরম চাদর বেরোল, যশের ব্যাগ থেকে সার্জের না কিসের সাফারি সুট। এইগুলো পেতে ধড়াচুড়ো সমেত অর্থাৎ কার্ডিগ্যান ও শাল সমেত শুয়ে শুয়ে ওরা হিহি করে কাঁপতে লাগল।

তীর্ণা বলল—কলে কলে শোয়ার কথা লোকটা কেন বলেছিল এখন বুঝতে পারছি। হি হি হি বুবুবু।

রাংতা বলল—তুততুই না হয় তোর দাদ্‌দার কোলে শুতিস? আমি! আআমি তো কোককোনো দাদ্‌দা আনিনি।

তীর্ণা বলল—কেন ত্‌তোর গো গ গোপাল

—গোগগোপাল কোনও জন্মেও আম্‌মার নয়।

তীর্ণা বলল—তা যদি বলিস দাদ্‌দার কলে শোওয়াটাও যথথেষ্ট অশ্লীল।

রাংতা বলল—আমরা কি পার্মানেন্টলি তোত্‌ তোত্ তোত্‌

—উঁহু শীতের জজন্যে, কাল রোদ উঠলে দেখা য্‌ যাবে।

যশ আর গোপাল ঘুরছিল এক দিকে। অনীক জি.জির সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছিল। চারজনে প্রথমে এক দিকেই যায়। ভীষণ শীতের রাত জাগতে হলে সবাই যেদিকে যায়। …জি.জি… একবার সাবধান করল—এখানে ওসব মাতলামো চলে না কিন্তু। ভীষণ মুশকিলে পড়ে যাবেন।

—আরে না না, স্রেফ শরীর গরম করা আবার কী? আমাদের বলে কত কাজ! যশ গোপালের দিকে আড়চোখে চাইল।

মেলার চত্বর থেকে একটু দূরে ওরা বসেছিল, বড় বড় হাঁড়িতে মহুয়া। অল্প খেল তিনজনে। জি.জি একটুও না। আবার মুখের গন্ধ দূর করবার জন্যে এলাচও দিল। অনীক দু দিকে দু হাত ছুঁড়ে বললে—অ্যাই এখন আমরা সব্বাই কবি শক্তি চাটুজ্জে।

গোপাল বলল—তাই নাকি? তবে দু লাইন পদ্য বলো তো চাঁদু …

অনীক উঁচুর দিকে মুখ করে বলল—যদি তারা টেঁশে যায় করাল কালের স্রোতে ধরা পড়ে গিয়ে

অ্যাই অ্যাই— জীবনানন্দ জীবনানন্দ গন্ধ ছাড়ছে…গোপাল আপত্তি করে উঠল।

তখন অনীক ঘুরে ঘুরে বাউলের ভঙ্গির নকল করে বলতে লাগল

‘সব শেষের তারা মিলালো আকাশ খুঁজে তাকে পাবে না

ধরে বেঁধে নিতেও পারো তবু সে মন ঘরে যাবে না।’

—এই অনীক মারবো এক চড় এটা তো শক্তি চাটুজ্জেরই কবিতা!

তখন অনীক হঠাৎ আশিরনখ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল—গোপলা তুই বাংলা কবিতাও পড়িস? পড়িস তা হলে?

গোপাল বলল—তোর বাবা বাংলার মাস্টার বলে বাংলা কবিতা কি তোদের মৌরুসীপাট্টা নাকি রে? বল বল নিজের দু লাইন বল, নইলে হয়ে যাবে এক হাত।

অনীক বলল—

এই শালাদের ভিড়ভাট্টায় বহুৎ ঘুরেছি

ভাল্লাগে না ভাল্লাগে না ভাল্লাগে না ছিঃ।

নেমকহারাম ইয়ার বক্‌সি জানিস কোথায় কী?

এডিথ কোথায়? এডিথ কোথায়? এডিথ কোথায়? …

বাকি তিনজনেই চমকে উঠল। যশ তাড়াতাড়ি বলল—অনীক হাই হয়ে গেছে, চলো কেটে পড়ি।

এরপর ঘুরতে ঘুরতে ওরা একটা আসরে বসে। অনীক হাই হয়ে না গেলেও, তার মহুয়া-টহুয়া খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই নেই, সে একটু বেসামাল হয়েছিল। জি.জি ওকে একলা ছাড়তে পারছিল না। আসরে বসেই অনীক ঘুমিয়ে পড়ল।

যশ আসর থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল—তুই অনীককে বলে দিয়েছিস?

—অন গড, নো।

—তা হলে ও কী করে?

—কোনও সময়ে আমাদের আলোচনা শুনে ফেলেছে হয়ত। আর অত ঢাকঢাক গুড়গুড়ই বা কিসের? হেল্প চাই বলেই তো ওকে আনা।

—না, তা নয়। কিন্তু ওই চার্জটা রয়েছে বলেই আরও ভাবনা! আচ্ছা গোপাল আমরা এডিথ শুনে দারুণ চমকে ছিলুম তো ঠিক আছে। লেকিন ওই জি. জি. ডিসটিংটলি চমকালো। কেন?

—কবিতা শুনে বোধ হয়।

—নট ইমপসিব্‌ল, বাট ইমপ্রব্যাব্‌ব্‌ল। কেমন একটা ফিলিং হচ্ছে আমার। আনক্যানি।

—সমস্ত ব্যাপারটাই তো আনক্যানি।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress