চিরো নতুন সেই বনলতা
হাসিমুখে করে যাও জীবনযাপন
নিরবে করিছো পালন নীরবতা
আজ তোমার শুভ জন্মদিনে
মন কেবলই নেচে ওঠে এই আনন্দ নিকেতনে
পৃথিবীর সকল গ্রহে ও গৃহে লেখা থাকুক তোমার নাম
প্রিয় বনলতা; পৃথিবীর সম্ভারে—
অন্তরের সঞ্চারে ছড়িয়ে পড়ুক তোমার সুনাম।
এই শুভ কামনায় তোমারি নাম জপি আমি
গাছ; পাতা; লতা;
আকাশ; কুসুম;
ফুল সবের চেয়ে তুমিই দামি।
আদরের থালায় করে বসবাস কামনা; বাসনা; বেদনা
এই ভুবনের সকল বর্ণে মিশে আছো তুমি;
তুমিই তো সেই সুপ্ত প্রার্থনা,
সুন্দর হতে আরো সুন্দর তুমি হও
অবিভক্ত বাংলার—
মুক্তচূড়ার সচিত্র ভাষণে তুমি এক প্রচ্ছদ রাঙাও।
কথা কয়ে যাও…..
এভাবেই সুন্দরে সুন্দরে
মনোবাসনার ভেলায় ভাসিয়া যাও–
চাতকের ন্যায় কাহারো অন্তরে অন্তরে;
ভালো থেকো সদা তুমি ভালো থেকো সুচিন্তন
তোমারে লয়ে কোন কবি আজও কবিতায় মগ্ন রাখে মন।
মনে রেখো প্রিয়;
করিয়াছো তারে তুমি কবি
মুছে গেছে সব তার; ভুলাইয়া দিয়াছো তাহারো সবই
এখন সে মেঘেতে বিষাদ খোঁজে তোমারে ভালবেসে
শান্ত মৃত্তিকা হয়ে নিশিত স্বপনে–
তুমি তারে ধরা দিয়ে যাও এসে,
তুমি শুধু মানুষ নও; তুমি শুধু দেবতা নও;
তুমি এক নিশ্চিহ্ন উদাহরণ,
নাহি হায় ভোলা যায়–
আসে যদিও বা একদা মরণ।
আজ এই শুভদিনে
বার্তা পাঠাইছে সেই জন তোমারও লাগি
উঠো হে চারুলতা;
উঠো হে প্রীতিলতা;
উঠো হে মনময় বনলতা;
শতবর্ষ পরেও জাগিয়া দেখিও
এ হৃদয় তোমার হৃদয়ের সহিত হইয়াছে মিলিত
হবে রচনা ইতিহাস——-
কথা বলিবে নব রচিত এই চির শাশ্বত
দূর প্রান্তর হতে কেন এত কথা বলাবলি
দেয়া ডাকে বেলা শেষে; এসো কাছে এসে কিছু বলি
এই শুভ দিনে ক্ষণিকের তরে
আসিয়াছিলাম কিছু বাণী লয়ে
শুভকামনা জানালাম তোমায়;
সময় যদি আসে কোন দিন
একটিবার তাকায়ে দেখিও আমায়।