সেদিন তোমার দুপুরের একটি স্বপ্নের কথা
বললে আমাকে। ঘুমের বড়ি খেয়ে অনিদ্রার টকটকে চোখে
ধুলো দেওয়ার জন্যে তুমি গা ঢেলেছিলে বিছানায়। কয়েক
মিনিট না কাটতেই দেখতে পেলে
তোমার মাথার ভেতর গজিয়ে উঠেছে একটি গাছ
আর চারপাশে ঝোপঝাড় আর তোমার
করতলে একটা কদম ফুল ফুটে উঠল এবং
পর মুহূর্তেই কদম ফুল রূপান্তরিত ক্যামেলিয়ায়।
মেঘে ঢাকা আকাশ যেমন বিদ্যুচ্চমকে
খরায় ন্যাড়া মাটির মতো চৌচির হয়ে যায়,
তেমনি তোমার মগজ যেন হয়ে গেল
কোনও চিত্রকরের রাগী তুলির আঁচড়।
আবার দেখলে তুমি কখনও আরশোলা,
কখনও টিকটিকি রূপে ঘরের ধূসর দেয়ালে
হামাগুড়ি দিচ্ছি। তুমি ঘুমিয়েছিলে নাকি আধো ঘুমে
আধো জাগরণে তোমার সময় করাতের দাঁতে
ঘষটে যাচ্ছিল, কে বলবে? মনে হয়,
তোমার স্বপ্নটি মাকড়সার জালে আটকে পড়া পোকা।
আর হ্যাঁ, মনে পড়ল অনেক আগে তুমি বিজ্ঞানীর
কল্প-কাহিনী পড়েছিলেন, যিনি মাকড়সা বিষয়ে গবেষণা
করতে-করতে পেয়ে গেলেন সেই অষ্টপদী
কীটের অবয়ব, কিন্তু মাথাটা তার নিজেরই রয়ে গেল।
এরপর থেকে কোনও বড়সড় মাকড়সা দেখলেই তুমি
ভয়ার্ত চোখে ওর মুখে আবিষ্কার করতে মানুষের মুখ।
অথচ আমি নিশ্চিত জানি, তুমি কখনও
কাফকার কোনও গল্পই পড়নি।