ষাটোর্ধ বয়স তবু হঠাৎ উদয় শঙ্করের
শিবশঙ্করের রূপে হাওয়ায় তরঙ্গ
তুলে প্রিয়তমা
গৌরীকে বুকের কাছে নিয়ে
নতুন মুদ্রায় সীমাহীন রুক্ষতায়
অকাল বসন্ত সৃষ্টি করবার সাধ জাগে আর
কী সহজে হয়ে যাই বড়ো গোলাম আলীর মালকোশ
নিশীথের দ্বিতীয় প্রহরে।
যে আমার গৌরী, সে আমাকে প্রতিদিন প্রতিরাত
স্বপ্নের খেয়ায়
কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় কী উদ্দাম,
সমুদ্রের নীল জলে ভিজে যাই ক্ষণে ক্ষণে, মাথার উপর
অপূর্ব পাখিরা ওড়ে, তাদের ডানায়
দুপুরের আনন্দাশ্রু, সন্ধ্যার বিষাদ-বিন্দু কাঁপে।
মুহূর্তে মুহূর্তে সে আমাকে
প্রেমের প্রভায় টেনে করে দান তরুণের সতেজ আঙ্গিক।
সে পাতালকন্যা হয়ে অনেক গভীরে ডুব দিয়ে
ভেসে ওঠে পুনরায়, আমার বয়েসী শীর্ণ হাতের তালুতে
তুলে দেয় অপরূপ মণিরত্ন; নিঃস্ব আমি, তাকে
কোনো পরিচ্ছদ
কোনো অলঙ্কার কিংবা অনুরূপ কিছু
নয়, তার উদ্দেশে কেবলি কিছু হৃদয়-নিংড়ানো পদাবলী নিয়ে যাই।