ত্যাগ না আসলে প্রেম বাড়ে না,
ঝরাপাতার কোলাহল,নীরব কান্নায় প্রেম বাঁচে নতুন পাতার আহবানে।
অপেক্ষা থাকে, ভাবনারা ছুঁয়ে থাকে কোন এক যাদুমন্ত্রে।
ঠিক যেমন পুরোনো চালে ভাত বাড়ে,
পুরানো সেই দিনের কথায়, পুরাতন সেই গানে মন ভরে।
মনে পড়ে রুবি রায় একদিন তোমাকে মতোই…
তাই তো তুমি সেঁজুতির পাতায় আমায় রাখলে না।
অথচ দশ বছর কিংবা অজুত নিজুত বছরের কবিতার সঙ্গী ছিলাম তোমার,
একটিবার ও তোমার সেকথা মনে পড়লো না!
সেই মেয়েটি, যে তোমার কবিতার প্রেমে পড়তো বারংবার!
এক কলসি ঠান্ডা জল বুকে জমিয়ে থার্মোমিটারের পারদে আমার কায়ার উত্তাপ তখন তুঙ্গে নোনতা জলে সুন্দরী হয়ে উঠেছে।
তুমি তখন মৌমাছি সেজে আমার মালতীলতার বাগানে খোঁজ নিয়েছিলে দুই বেলা।
চোখের পাতায় তখন আনন্দ অশ্রু ধারা।
জানি না কোন দোষে ভালোবাসতে গিয়ে এক আঁজলা ভরে দুঃখ নিলাম কুড়িয়ে।
প্রেম এসেও এলো না।
নিজের জন্য নয়, প্রেমের জন্য দুঃখ হয়।
ভালো বাসার জন্য হাহাকার নামে বুকে।
সেঁজুতির পাতার মতো অনেক কিছু থেকে আজ আমায় তুমি ব্রাত্য করেছো।
আমার কষ্টে অপার শান্তি পেয়েছো মনে।
কাদম্বরী দেবী রাতারাতি দেবী হয়ে যান নি এই আজব দুনিয়াতে!
সংসারের যাবতীয় সবকিছু থেকে বঞ্চিত হতে হতে, যখন রবীর জীবনে সুগন্ধি রজনীগন্ধা এলো সানাইয়ের সুরে।
কাদম্বরীও আফিমের নেশায় নিঃস্ব হলেন। বেলজিয়াম কাঁচের আয়নার মতো টুকরো টুকরো হলেন কাদম্বরীও।
এতো বড়ো আকাশের মতো কাদম্বরী দেবীর আত্মত্যাগ রবীন্দ্রনাথ কে সেই দিন থেকে ঈশ্বরী কাদম্বরী বানালেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
নুপুর পায়ের ছন্দ তুলে এই কাদম্বরী দেবী ছিলেন বিগত দশ বছরে প্রেরণার ভানুসিংহের পদাবলী।
বলেছিলেন ত্যাগ ছাড়া প্রেম আসে না রবি।
ঠিক যেমন অন্ধকার না নামলে পুব আকাশে রবির উদয় হয় না।
তোমার সেঁজুতি একটি একটি সেজে উঠলো পূর্ণ কুম্ভে,
পূর্ণতার আশায়।
তাই তো তুমি সেঁজুতির বৈঠকে আমায় রাখলে না।
আর নাই বা রাখলে আমায় কালো কালো অক্ষরে কবিতার পাতায়।
তুমি সেজে ওঠো এবার সেঁজুতির সঙ্গে। সম্পূর্ণতা আসুক জীবনে
আমি থেকে যাবো নীরবে আজীবনের শুভকামনায়।