ঠগ
রতনদার পাড়ায় বেশ নাম ডাক জনদরদী লোক হিসেবে। কার মাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে,কার বাবার শ্রাদ্ধের টাকা জোগাড় হয়নি।কোথায় কালী পুজো হবে কোথায় সরস্বতী পুজো হবে সবেতেই রতন দা এগিয়ে। এহেন রতন দাকে শোনা গেল পার্টিতে নাম লিখিয়েছে। এবার নাকি এম এল এ ইলেকশনে টিকিট পেয়েছে। পাড়ার সবাইতো রতনদাকে নিয়ে খুব মাতামাতি। সবাই লিস্ট বানিয়ে ফেলেছে রতনদা এম এল এ হলে এই পাড়ার জন্য কি কি উন্নয়ন করতে হবে। রতন দা পাড়ার বড় জামাকাপড়ের দোকান থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকার জামাকাপড়(ধারে)কিনেফেলেছে। দোকানদার ও নির্দিধায় দিয়ে দিয়েছে। রতন মন্ত্রী হলে দোকানের ভোল পাল্টে এটাকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর করে দেবে বলেছে।
রতন দা তো আগেই একটা সোনার চেন বানিয়ে নিয়েছে(ধারে) সোনার দোকান থেকে।দোকানদার রতন দা কে বলে- স্যার আমাদের একটু দেখবেন, লোনটা যেন স্যাংশন হয়ে যায়।তাহলে ঐ চেনটা দোকানের তরফ থেকে আপনার জন্য গিফট।
রতন দা তো সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে- একবার মন্ত্রী হয়ে যাই তারপর যার যা আবদার সব মিটিয়ে দেব।
যথা দিনে পার্টি থেকে নাম ঘোষণা হলো,সবাই টিভির পর্দায় চোখ রেখে উদগ্রীব হয়ে বসে আছে। রতন দার নাম টা কখন ঘোষণা হবে। একে একে সবার নাম ঘোষণা হয়ে গেল কিন্তু রতন দার নাম তো বলল না।
রাতে রতন দা পাড়ার ক্লাবে আসতেই সবাই বলল কি রতন দা তোমার নাম কোথায়?
রতন বলল ওটা এখন চেপে গেছে পরে ঘোষণা হবে।
একজনকে সরিয়ে আমার নামটা ওখানে ঢোকাবেতো তাই এখন ঘোষণা করে নি। পরদিন কাপড় ব্যবসায়ী,স্বর্ণ ব্যবসায়ী পাড়ার লোকজন রতন দার বাড়ি গিয়ে দেখে গেটে একটা তালা ঝুলছে।রতন দা সবাইকে বোকা বানিয়ে রাতারাতি পাততাড়ি গুটিয়েছে।