অদ্ভুত জীবন আমার
শুনলে চোখে জল আসে
তাই আমার কষ্টের কথা
কাও কে বলতে ইচ্ছা না করে।
কারখানায় জন্ম আমার
রঙটা যদিও খুব কালো
তবু জন্মের পর আমায় দেখে
লাগলো অনেকের ভালো।
তাদের বাড়ির কাজের স্থানে
আমায় জায়গা করে দিলো।
প্রথম দিকে যত্ন করে সবাই
ফাঁক পেলেই গায়ে হাত বুলাই
গায়ের কাদা জলে ধুয়ে দেয়।
বয়স যতই বাড়েতে থাকে
যত্ন ততোই কমেতে থাকে
দিনের পরে দিন চলে যায়
মাসের পরে যায় মাস
এইভাবেই চলে গেলো
বছর পেরিয়ে আরও কয়েক বছর
তখন আমার যৌবন নাই
বার্ধক্যে দিয়েছি আমি পা।
গায়ের চামড়া ঝুলে গেছে
কর্ম করার শক্তি গেছে চলে
শরীরে ও তেজ গেছে কমে।
এখন আর কেহ বাসেনা ভালো
মালিক কাজের স্থানে অন্যেরে খোঁজে
সে যেদিন কাজে লাগে,আমার
জায়গা হলো বাড়ির ছাদের কোণে ।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
আমার শরীর হলো অসার
জমলো কাদা জমলো বৃষ্টির জল
তাতে ডিম পারলো যত মশার দল।
আমার প্রতি নাই কোনো যত্ন
দেখে না কেও আমার কি অবস্থা।
অবশেষে খবর পেয়ে ছুটে এলো
পৌরসভার সাফাই কর্মীরা।
তারা আমায় দেখে শুনে
বের করলো এক উপায়
আমার সারা গায়ে দিয়ে দিলো
নানা রকম কীটনাশক ভাই
জ্বলে পুড়ে মরলাম আমি
আর মরলো মশার দল।
অবশেষে আমায় নিয়ে চলল
তারা এক ফাঁকা মাঠের পর।
আমার গায়ে দিলো তারা
কেরোসিন তেল আর আগুন।
পুড়ে আমি হয়েগেলাম ছাই
এটাই আমার করুন পরিণতি ভাই।।