বাঙালির ঝড় নিয়ে বরাবরের আদিখ্যেতা বেশি।
কখনো ঈশান কোণে কালবৈশাখীর নূন্যতম মেঘ দেখলেই আকাশ কুসুম কল্পনার মোড়ক নিয়ে বসি আমরা!
কখনো আবার ঘূর্ণিবাতের চক্ষুকে প্রেমিক, প্রেমিকার চোখের গভীরতার সমতুল্য-এ যে কত লাইন খাতায় আঁকড় কাটি তার কোনো হিসাব থাকে না।
তরুণ প্রেমিক হোক বা প্রেমিকা ঝড়কে নিয়ে বিষন্নতার কবিতা লেখেনি এমন পাওয়া দায়।
খ্যাতনামা লেখকরাও ঝড় বাদলের রাতে, দিনে অমৃত ছন্দ নিবেদন করেন তাঁদের সৃষ্টিতে।
ধুর! শুধু কি লেখক, পাড়ার বাচ্ছা থেকে বড়ো ঝড়ের মধ্যে আম কুড়োনো নিয়ে সে কি আদিখ্যেতা করে!
তবে তা মন্দ লাগে না,
বাস্তবের কাছে হেরে কখনও কখনও এমন বাচ্চামো ভালোই লাগে।
খাদ্যরসিক বাঙালি আবার ঝড় জলে গরম গরম
গোবিন্দভোগ চাল আর মুগ ডাল দিয়ে খিচুড়ি আর বেগুনির জন্য পাগল।
অসহায়, ব্যার্থ মানুষ আবার ঝড়কে নিজের জীবনের সাথে তুলনা করে শান্তি পায়।
তবে যাই বলুন! ঝড় মনের হোক বা বাইরের তা ছন্দ পতন ঘটায় না বরং জীবনকে ছন্দে ফেরায়।
তা নিয়ে একটু আধটু আদিখ্যেতা করা ভালো বৈকি!
কি বলেন!