শব্দের কাঁটা ফুটেও সেপটিক হতে পারে
কবিতা শরীরে ।
আবার শব্দের সুগন্ধি পেয়েও উড়ে
আসতে পারে প্রজাপতি ।
যেমন, ফণীমনসা শব্দ লেখা হলেই
আস্ত হাজির হয় কন্টকময় সবুজ সন্ন্যাসী।
তার পাশে শবনম শব্দ বসালেই ভেউ ভেউ
ভয়ে কেঁদে ফেলতে পারে কোনও নাজুক শবনম ।
শীতলের পাশে জল এলে বরং উল্টো,
ছুটন্ত জল নিজেই ঠান্ডা হিম হয়ে যায় !
গাঁঙুরের ভেলাতে ভাসলেই নিমেষে বেহুলা
ঘুরে আসে ইন্দ্রসভা থেকে চম্পকনগরে !
অভিনীত হতে থাকে মনসামঙ্গলের অমর দৃশ্যাবলি !
তাই ‘বিপন্ন বিস্ময়’ শব্দবন্ধ উচ্চারিত হলে
মহাপৃথিবী পার হয়ে মহাকবিতার জনক স্বয়ং
তড়িঘড়ি এসে লিখে যান শেষ আশার স্তবক —
“আজও চমৎকার ? —-
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব
জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ” ।