একটা গান গাও
জীবনের অথবা মরনেরও হতে পারে ।
শুধু একটাই অনুরোধ—–
মরনের আগে ঘুরে দাঁড়াও একবার
জানি– দেওয়ালে এখন পিঠ
তবু মুছে ফেলোনা তোমারই হাতে লেখা দেওয়াল লিখন
যেখানে লেখাছিল লড়াইয়ের কথা , বেঁচে থাকার কথা ।
যদি ভাবো তানপুরার তার গেছে ছিঁড়ে!
তবে সহস্র মুষ্টিবদ্ধ হাতে বেঁধে দেব সে তার ।
তুমি একলা নও এই পচন ধরা সমাজের বুকে
তবে বাঁচো , বাঁচো আরও একবার , আরও একবার ঘুরে দাঁড়াও।
তোমার রক্তে ভেজা শার্ট খানা পতাকা করে নাও ।
বোতাম খোলা শার্টের ও প্রান্তে থাকা হৃদপিণ্ডে তোলো বিদ্রোহের ঢেউ।
আমি আছি , আমরা আছি ।
করুণ চোখে চেওনা এ পৃথিবীর বুকে , করোনা দয়া ভিক্ষা
ওটা তোমাকে মানায় না—
ভাঙা কার্নিসের ধারে দাঁড়িয়েও গেয়ে ওঠো জীবনের গান ।
দেখো , ঠিক ওরা ভয় পাবে ।
বর্ষা দিনের একটা ময়ূরাক্ষী হয়ে উঠতে পারো কিম্বা দামোদর!
ভাসিয়ে দাও পৃথিবীর বুকে জমে থাকা আবর্জনা জঞ্জাল।
গাও বন্ধু গাও । আরোও একবার জীবনের গান গাও ।
আরোও একবার সুমিত্রা নন্দন হয়ে গণ্ডি এঁকে দাও পৃথিবীর বুকে
দুর্বৃত্ত রাবন যেন ভয় পায় ।
এ আকাশ , এ মাটি , এ জলরাশি— সবই তো তোমার
তুমি বরং একটা গান ধরো
জীবনের গান , বেঁচে থাকার গান ।