Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » জীবনযাপন || Tarapada Roy

জীবনযাপন || Tarapada Roy

জীবনযাপন

শনিবারের সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায়। কিংবা সঠিকভাবে বলা উচিত শনিবারের সকালে স্বেচ্ছায় দেরি করে ওঠেন জগদানন্দবাবু। জগদানন্দ রাহাচৌধুরী।

জগদানন্দবাবু কথাটার আমাদের অনেকের কাছেই কোনও মানে নেই, কিন্তু যদি সরাসরি বলি মিস্টার জে এন আর চৌধুরী সবাই চিনতে পারবেন।

খবরের কাগজে তাঁর নাম ভদ্রবাড়ির বাইরের ঘরে পর্দা বা পাপোশের মতো থাকবেই। তাঁর নামে প্রশ্ন উঠবে বিধানসভায় লোকসভায় এমনকী রাজ্যসভায়। দূরদর্শনে, বেতারে তার নিয়মিত উপস্থিতি প্রায় অনিবার্য।

কিন্তু মাননীয় রাহাচৌধুরী মশায় রাজনীতির নোক নন, রাজনীতির কিছুটা সাইড বিজিনেস তার এক সময়ে ছিল, যথেষ্ট নিরাপদ নয় বলে এখন সেটাও করেন না। কিন্তু সবরকম ঘরানার লোক এখন। তাঁকে খাতির করে কারণ তিনি একজন সফল ও কৃতবিদ্য কর্মযোগী, একালের ভাষায় শিল্পপতি।

শনিবার পরপর দুদিন হেডঅফিস বন্ধ থাকে। তার কোম্পানির কলকারখানা সমূহের দিকে খুব একটা ঘেঁষেন না রাহাচৌধুরী সাহেব। দিতে হবে, দিতে হবে, জবাব চাই, জবাব চাই, সেসব ভারি ঝামেলা। তিনি যথাসাধ্য হেড অফিসের নিরাপত্তার মধ্যেই নিজেকে নিবদ্ধ রাখেন, সেটাই নিরাপদ। ঝুটঝামেলা ম্যানেজারেরা সামলায়।

শনি-রবির ছুটির সুযোগে শুক্রবারের সন্ধ্যায় রাহাচৌধুরী সাহেবের আমোদ প্রমোদ একটু বেশি হয়ে থাকে, ফলে শনিবারের সকালে দেরি করে শয্যাত্যাগ করাটা সেই অর্থে খুব অস্বাভাবিক বলা যাবে না।

জগদানন্দ রাহাচৌধুরী নামটি বাংলায় খুবই জবরদস্ত। কিন্তু ইংরেজিতে জে রাহাচৌধুরী কেমন ম্যাটমেটে শোনায় সেইজন্যে জগদানন্দবাবু জগদা এবং নন্দ আলাদা করে ধরে জগদা থেকে জে, নন্দ থেকে এন, রাহা থেকে আর নিয়ে এবং চৌধুরী অটুট রেখে জে এন আর চৌধুরী হয়েছেন।

এতে নামটাই যে শুধু খোলতাই হয়েছে তা নয় আরও একটা সুবিধে হয়েছে পুরনো চেনাজানা লোকেরা সহজে ধরতে পারে না মহামহিম জে এন আর চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পোন্নয়নে নবযুগের। ভগীরথ, তাদেরই জগা বা জগদানন্দ।

জে এন আর অতি সামান্য অবস্থা থেকে উন্নতির চরম শিখরে উঠেছেন। আরোহণের বাঁকাচোরা চড়াই উত্রাইয়ের পথে তিনি তার অতীত জীবনের অনেক কিছু ফেলে এসেছেন এবং কার্যকারণ বশত কিছু কিছু গর্হিত দোষ অর্জন করেছেন।

অনেক কিছু ফেলে এসেছেন জে এন আর, আত্মীয় বন্ধুদের সঙ্গে রীতিমতো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন কিন্তু তার বহুদিনের সুখ-দুঃখের সঙ্গিনী সহধর্মিণী হেমলতার জাল ছিঁড়ে বেরোতে পারেননি। সেই

প্রথম যৌবনে তাদের বিয়ে হয়েছিল, বড়লোকের মেয়ে হেমলতা গৃহশিক্ষক জগদানন্দের হাত ধরে। পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করে চলে এসেছেন।

জগদানন্দের উত্থান সেখান থেকেই শুরু। ছেলেপিলে হয়নি, নিঃসন্তান হেমলতা এই মধ্যবয়সে ভারী থলথলে শরীর, দোক্তাপান চিবোনো আতার বিচির মতো কালো দাঁত আর সোনার চশমায় অপরূপা।

কিন্তু হেমলতাকে পরিত্যাগ করার সাহস জগদানন্দের ছিল না, এখনও নেই। যত দিন যাচ্ছে হেমলতার কঠোর শাসনে তার প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। তার সবরকম আমোদ ফুর্তিতে হেমলতা বাধা দেবে, গোপনে কিছু করলে রক্ষা নেই, ভয়াবহ গোলমাল শুরু হবে।

সে যা হোক মর্নিং ওয়াক করা জে এন আর সাহেবের একটা পুরনো অভ্যাস। তিনি এটাকে উন্নতির একটা সোপান বলেই গণ্য করেন। সাবেকি শিল্পপতি পরিবারগুলির বংশধরদের মতো অশ্বারোহণ, গলফ খেলা বা হেলথ ক্লাব তার পছন্দ নয়। তিনি সকালবেলা হাঁটেন, হাঁটার পথে বহু ক্ষমতাবান, রইস লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়, জীবনে কাজে লাগে।

শনিবার সকালেও, যত দেরি করেই ঘুম থেকে উঠুন, স্নান করে, দাড়ি কামিয়ে, ব্রেকফাস্ট সেরে হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন জগদানন্দবাবু। লেকের একটা ছায়া সুশীতল মোড়ে তাকে নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার অপেক্ষা করে, কারণ এর পরে শনিবারের অনেক অন্যরকম কার্যকলাপ আছে তার।

সে যা হোক আজ একটু বেশি বলা হয়েছে, লেকে নিয়মিত পদচারীদের প্রায় কেউই নেই। তা ছাড়া বেশ ঝা ঝা রোদ উঠেছে, চড়া রোদে চারদিক ঝিমঝিম করছে।

এক গাছের ছায়ায় তার প্রিয় বেঞ্চে প্রথমে কিছুক্ষণ বসেন জগদানন্দবাবু। আজ বসতে গিয়ে দেখেন সেখানে আগে থেকেই অন্য একজন লোক বসে রয়েছে।

লোকটার বয়েস হয়েছে, কেমন দীন, দুঃস্থ ভাব। গায়ে সেলাই করা পুরনো ময়লা পাঞ্জাবি, ততোধিক ময়লা ধুতি। পায়ে সুতো দিয়ে স্ট্র্যাপ জোড়া দেওয়া হাওয়াই চপ্পল।

একটু কোনা ঘেঁষে জগদানন্দবাবু বেঞ্চটায় গিয়ে বসলেন। তিনি বসার পর লক্ষ করলেন ওই লোকটা তার দিকে ঘন ঘন তাকাচ্ছে।

একবার মুখ ঘুরিয়ে ভাল করে তাকিয়ে দেখে জগদানন্দবাবুর মনে হল কেমন চেনা চেনা, যেন অনেক দিনের পূর্বপরিচিত। কিন্তু তাকে খুব বেশিক্ষণ সমস্যায় থাকতে হল না। হঠাৎ পাশের লোকটি তাকে বলল, আরে তুমি জগা নও।

জগদানন্দবাবুও ততক্ষণে চিনতে পেরেছেন। সব্যসাচী, সব্যসাচী পাল। চল্লিশ বছর আগে একসঙ্গে দুজনে তীর্থপতি স্কুলে পড়তেন। সব্যসাচী ফার্স্ট হত। জগদানন্দ কোনওরকমে উতরিয়ে যেতেন।

পরেও মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় দেখা হয়েছে তবে সেও অনেককাল আগে। যতদূর মনে পড়ে, গত বিশ পঁচিশ বছর আর মোটেই দেখা হয়নি। তবু পুরনো সহপাঠী বন্ধু, চিনতে অসুবিধে হল না।

কিছুক্ষণে মধ্যে দুজনের সুখ-দুঃখের আলোচনা শুরু হল। এসব ক্ষেত্রে যেমন হয় কিছুটা স্মৃতিকথা অল্পবয়েসের মধুর দিনের প্রসঙ্গ আর সেই সঙ্গে বর্তমান জীবনের গ্লানি–এই নিয়ে টুকটাক কথাবার্তা।

কথায় কথায় প্রায় স্বাভাবিক ভাবেই জগদানন্দবাবু সব্যসাচীকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এ হাল হল কী করে? আমতা আমতা করে সব্যসাচী প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলেন, জগদানন্দবাবুও খুব জোর করলেন না জবাবের জন্য।

একটু পরে যখন জগদানন্দবাবু উঠছে খুব সংকোচের সঙ্গে সব্যসাচী জগদানন্দকে বললেন, দ্যাখো জগা, খুব লজ্জা হচ্ছে বলতে, এতদিন পরে দেখা, তবু পেটের দায়ে বলতে হচ্ছে, কাল রাত থেকে কিছু খাইনি কলের জল ছাড়া, খিদেয় মাথার ঘুরছে, পা কাঁপছে তাই লেকের বেঞ্চে এসে বসেছিলাম, তুমি যদি দশটা টাকা দাও তাহলে অনেকদিন পরে একটা ভাতের হোটেলে গিয়ে পেট পুরে একবেলা খেতাম।

শনিবারের দুপুরে ক্লাবে একটা আচ্ছা আছে। জগদানন্দ প্রত্যেক শনিবার দুপুরে সরাসরি লেক থেকে সেখানেই চলে যান। আজ সব্যসাচীর কথা শুনে তার মনে হল একটু উদারতা দেখাই, ক্লাবের বন্ধুদের সব্যসাচীকে নিয়ে গিয়ে দেখাই, গরিব, অসফল, হতদরিদ্র বাল্যবন্ধুকে আমি ফেলি না, তাকেও সমান খাতির করি।

জগদানন্দ উদারভাবে বললেন, সব্য, তুমি আমার বাল্যবন্ধু তোমাকে ভাতের হোটেলে খাওয়ার টাকা আমি দিতে যাব কেন, তুমি আমার সঙ্গে চলো, ভাত খেতেই হবে এমন কোনও কথা নেই, আরও কত ভাল ভাল পেট ভরানোর জিনিস আছে সংসারে, তুমি আমার সঙ্গে চলো৷

সব্যসাচী কী বুঝলেন কী জানি, একটু ইতস্তত, একটু দোনামনাভাবে তিনি জগদানন্দের সাথে রওনা হলেন।

জগদানন্দের গন্তব্য মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে রবীন্দ্রসরোবরের এক প্রাচীন ক্লাবে। তিন মিনিটের মধ্যে জগা আর সব্য দুই বাল্যবন্ধু, একজন সফল অন্যজন অসফল দুজনে ক্লাবের দোতলায় পৌঁছে গেলেন।

জগদানন্দবাবু এক প্লেট বাদাম, দুই প্লেট আলুভাজা আর দুটো বিয়ার অর্ডার দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করলেন সব্যসাচী, একটা বিয়ার নাও, আমার জন্যে বিয়ার লাগবে না।

জগদানন্দবাবু বললেন, সে কী, কেন? সংকোচ করছ কেন?

সব্যসাচী শুকনো মুখে জবাব দিলেন, না আমি ড্রিঙ্ক করি না, কোনও দিনই করিনি। জগদানন্দ বোঝাতে চেষ্টা করলেন বিয়ার ঠিক মদ নয়, কিন্তু সব্যসাচী বিয়ার পান করতে কিছুতেই রাজি হলেন না।

তবে আলুভাজা, বাদাম ইত্যাদি চাট জাতীয় জিনিস বিয়ারের সঙ্গে যা এল তার ভালই সদ্ব্যবহার করলেন সব্যসাচী। বোঝা গেল তার বেশ খিদে লেগেছে, যদিও আপাতত সেটা কিছুটা উপশম হল।

জগদানন্দ পুরনো বন্ধুকে সিগারেট এগিয়ে দিলেন, মহামূল্যবান বিলিতি ডানহিল সিগারেট। সঙ্গে সঙ্গে সব্যসাচী হাত নেড়ে তা প্রত্যাখ্যান করলেন, কিছু মনে করো না জগা, কোনও নেশা আমার নেই, কোনওদিনই কোনও নেশা করিনি।

এই ক্লাবে জগদানন্দের নিয়মিত বন্ধুবান্ধবেরা যথারীতি অন্য টেবিলে হল্লা করছিল। তারা জগদানন্দের সাথে অন্য বাইরের লোক, বিশেষত ওই রকম দুঃস্থ একজনকে দেখে আর ঘটায়নি, তবে বিস্মিত হয়েছে।

এদিকে জগদানন্দ আপনমনে বিয়ার খেতে খেতে এবং সব্যসাচীকে খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে সহধর্মিণী হেমলতার কথা ভাবছিলেন। মেয়েছেলেটা আজকাল রাতদিন জ্বালাতন করে, সিগারেট খেলে বাধা দেয়, মদ খেলে বাধা দেয়, সব কিছুতে বাধা দেয়, আবার কিছুই হেমলতার কাছে গোপন করা যায় না, সব কিছুই সে কী করে যেন টের পেয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পরে বিয়ারের পাত্র নিঃশেষ হল। তখন সব্যসাচী উঠে দাঁড়ালেন, জগদানন্দকে বললেন, মনে হচ্ছে তুমি আরেকটু খাবে। তুমি থাক, আমি যাই। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, দশটা টাকা যদি ভিক্ষা দিতে দুপুরের খাওয়াটা কোথাও সেরে নিতাম। আজকের দিনটা কাটত।

জগদানন্দ বললেন, তুমি আমার বাল্যবন্ধু, তোমাকে আমি ভিক্ষা দিতে যাব কোন দুঃখে, তুমি আমার সঙ্গে চলো আমি তোমাকে টাকা ধার দেব সেই টাকা দিয়ে নিজে উপার্জন করবে, আমার টাকা শোধ দেবে, নিজেরও দুপয়সা থাকবে।

এবার গন্তব্যস্থল রেসকোর্স। গাড়িতে উঠে যেতে যেতে জগদানন্দ পার্স খুলে একটা একশো টাকার নোট সব্যসাচীর হাতে দিয়ে বললেন, আমরা ময়দানে রেসের মাঠে যাচ্ছি। প্রথম বাজির টিপ হল। হ্যানি বয়, ও ঘোড়া না জিতে যায় না, জিতবেই, জিতলে টাকা তোমার, আর যদি ভাগ্য খারাপ হয়…

ততক্ষণে শিউরে উঠে একশো টাকার নোটটা জগদানন্দের মুঠোর মধ্যে খুঁজে ফেরত দিয়েছেন সব্যসাচী, মুখে প্রতিবাদ জানালেন, না, না, রেসের মাঠে যাব না। জুয়া আমি কোনওদিন খেলিনি, খেলব না।

বিমূঢ় জগদানন্দ বুক পকেটে দোমড়ানো একশো টাকার নোটটা রেখে অবাক হয়ে সব্যসাচীর দিকে তাকিয়ে রইলেন।

সব্যসাচী তখন জগদানন্দকে বললেন, দ্যাখো, তোমার আমোদ প্রমোদে আমি বাধা দিতে চাই না। গাড়িটা থামাও, আমি কোথাও নেমে যাই, আর সেই দশটা টাকা যদি দিতে…

জগদানন্দ বললেন, দশ টাকায় কি খাওয়া হবে তোমার। বরং তুমি আমার সঙ্গে চলো।

সব্যসাচী জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায়?

জগদানন্দ বললেন, চলোই না। আশমানি বলে আমার এক গার্লফ্রেন্ড আছে। আমার ক্লায়েন্টদের দেখাশুনা করে। চমৎকার ঠুংরি গায় মেয়েটা। এই তো কাছেই ইলিয়ট রোডে ফ্ল্যাট। চলো আশমানির ওখানে যাই। তোমাকে আসল মোগলাই খানা খাওয়াব আজ দুপুরে।

এবারেও প্রতিবাদ করলেন সব্যসাচী, ওসব আশমানির ফ্ল্যাট-টল্যাটে খারাপ জায়গায় আমি যাব। টাকা দশটা যদি দাও, এখানে নেমে যাই।

কী চিন্তা করে জগদানন্দ বললেন, মাত্র দশ টাকা নয়, আমি তোমাকে এক হাজার টাকা দেব, আর সেটা ভিক্ষাও নয় সেটা তোমার উপার্জন। শুধু তোমাকে একটা ছোট কাজ করতে হবে।

আশঙ্কিত হয়ে সব্যসাচী বললেন, কী কাজ? আমি কিন্তু কোনও খারাপ কাজ করতে পারব না।

জগদানন্দ বললেন, না হে, খারাপ কাজ কিছু নয়। তোমাকে শুধু একবার আমার সঙ্গে আমাদের বাড়িতে যেতে হবে।

সব্যসাচী বললেন, কিন্তু কেন? তোমার বাড়িতে গিয়ে আমি কী করব?

জগদানন্দ বললেন, তোমাকে কিছুই করতে হবে না। আমি শুধু তোমাকে নিয়ে গিয়ে আমার বউ হেমলতাকে একটু দেখাব?

বিপন্ন সব্যসাচী জগদানন্দকে শেষ প্রশ্ন করলেন, হেমলতাকে কী দেখাবে? আমি দর্শনীয় কীসে?

জগদানন্দ বললেন, হেমলতাকে দেখাব, সিগারেট না খেলে, মদ না খেলে, কোনও নেশা না করলে, জুয়া বা রেস না খেললে, আশমানির ফ্ল্যাটে কখনও না গেলে মানুষের কী দশা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress