নদী তীরে বসত আমার ছিলো সুখের, ভরা সংসার,
গেলো বর্ষায় ভাঙন স্রোতে গ্ৰাসে নদী ঘর পরিবার।
একূল ওকূল দু’কূল হারা একা আমি আজ বিবাগী,
আকাশ তলে নদীর চরে আঁধার সাথে রাত্রি জাগি।
সারা দিবস ডিঙা চড়ে মাছের খোঁজে জলে ভাসি,
জিবিকা মোর এই নিয়ে ভাই যাপন কথা বারোমাসি।
আধেক ঘুমে নেশার মত স্মৃতির পাহাড় আঁকড়ে রাখি,
অতীতের দাগ হয়না বেদাগ বিষাদ মনে কেবল থাকি।
ঝাপসা দু’চোখ অতীত যখন হাতছানি দেয় স্মৃতির ঘরে,
বিবশ এ মন অসহায় হায় অশ্রুজলে বিলাপ করে।
আপন কেহ নেই যে কাছে দিগ্বিদিকে শূণ্যতা ছায়,
বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা যে গুমরে কাঁদে নীরবতায়।
প্রতিদিনই মরছি আমি বিধাতার এই অমোঘ খেলায়,
জীবনটা যে লাগে ভারী বইতে নারি চলি হেলায়।
ছিলো জীবন স্নিগ্ধ সুন্দর প্রশান্ত মন সকল সাথে,
আজ একেলা পথিক হয়ে ঘুরি ফিরি দিনে রাতে।
নদী তো তার নিয়ম মতো ভাঙ্গা গড়া ব্যস্ত কাজে,
বেদন আমার হৃদ পাঁজরে শূলের মতন নিত্য রাজে।
এমনি করেই যাবে কেটে যে কটা দিন বাঁচি ভবে,
নদী যদি দু’হাত বাড়ায়, কান্না আমার পূর্ণ হবে।