আশি পেরোনো বৃদ্ধ মানুষটা যখন পঁচিশ বয়সী ছেলের মৃত্যু দেখে, আমার জানা নেই তার হাড় হিম হয়ে আসে কিনা, জানিনা তার ভয় হয় নাকি দুঃখ।
সেই শৈশবে বড় হতে চাওয়ার আকাঙ্খা থেকে শেষ বয়সে মৃত্যুর দিন গুনতে থাকা সময়টার মাঝে বেঁচে নিতে হয় অনেকখানি, ভালোবেসে নিতে হয় সবটা দিয়ে, জড়িয়ে নিতে হয় মানুষকে, লিখে যেতে হয় যা পারি, কবিতার মতো করে।
মাঝ রাত্তিরে রাস্তায় শুয়ে থাকা শিশুটির মুখে খুঁজে নিতে হয় চাঁদের টুকরো, অভুক্তের হাসিতে খুঁজে নিতে হয় নিজেকে।
জীবনের শেষ মুহূর্তে অন্তত নিজের কাছে তো বলতে পারবো, “একটা জীবন ছিল আমার, আহা জীবন!”
বিরহ আর প্রেম আকড়ে বাঁচতে গিয়ে যদি মাথা তুলে আকাশকেই না দেখতে পাই, যদি কলঙ্কের ভয়ে ভীত হয়ে চাঁদকেই না ছুঁতে পারি, তাহলে কার সামনে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবো!
পাঁচ রকমের পাঁচ দুঃখ আকড়ে বেঁচে নিয়ে এগোতে হয় বলেই না জীবনকে দেখে প্রতিদিন বিস্ময় জাগে!