জিনিয়া তোমাকে ভালবাসতে চেয়েছিলাম
ছাদের নির্জন চিলেকোঠায়
দক্ষিণের বারান্দায়
শেষ সিঁড়ির ধাপে
অষ্টমী পুজার রাতে
হলুদ ঝর্ণা আঁকা তোমার মায়ের শাড়িটা যেদিন পড়েছিলে
যেদিন রেললাইনের পাশে কাশফুলের ঝোপে দাঁড়িয়ে সেলফী তুলছিলে
প্রতিবারই সব ইচ্ছে গুলো
নিয়ে একছুট্টে পালিয়ে গেল
নির্জন দামাল বাতাস
নীল বেলুনে চড়ে কতবার
একগোছা কামিনী ফুল
জিনিয়া তোমাকে দেব বলে
লুকিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম
সবুজ পাখিদের দেশে_
তুমি চোখ মটকে হেসে চলে গেলে
জিনিয়া পাঠশালা থেকে
আসার পথে
বৃষ্টিতে ভিজছিলে
আমি একটা পদ্মপাতা নিয়ে
দাঁড়িয়েছিলাম তোমাকে বৃষ্টির
হাত থেকে বাঁচাতে
বৃষ্টি আঁকছিল তোমার শরীর
গোপন ক্যানভাসে
আগুনের ভয়ে যাইনি তোমার কাছে
বৃষ্টি তো আগুন নেভাতে পারে না
দাউদাউ করে জ্বলে জালায়।
জিনিয়া কোনোদিন পারবো
একটা মালা দিতে তোমার গলায়?
এসো জিনিয়া আমার কাছে
মেঘ হয়ে
কখনও চমকানো বিদ্যুত
কখনো বা বজ্রপাত হয়ে
পাল তোলা নৌকোয় কোনোদিন কি আসবো না তীরে
যদি কোনোদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ো
সিক্ত হবো শরীরে , স্বপ্নে আপাদমস্তক ।