চ্যাটিং
এখন ফেসবুক মেসেঞ্জারের যুগ।
একজন ফেসবুকে লিখলো “কাজের সুত্রে হাওড়া স্টেশন থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লী রওয়ানা দিলাম। আপাতত আগামী তিন বছরের জন্য দিল্লীতেই থাকতে হবে। বিদায় কোলকাতা।”
সাথে সাথে বরুন উত্তর দিলো” রমা সাহায্য লাগলে বোলো।”
রমা “ঠিক আছে। ধন্যবাদ”।
রতন “রমা তোমার যে কোন ধরনের সাহায্যের জন্য একবার আমাকে মনে কোরো দয়া করে।”
রমা ” অসংখ্য ধন্যবাদ।”
বিপ্লব “রমা একদম চিন্তা করবে না। দিল্লীতে আমার অনেক বন্ধু আছে। যেকোন দরকারে বলবে আমি সমাধান করে দেবো।”
রমা “অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে”।
বিল্টু “রমা কোথায় থাকবে কিছু ঠিক করেছ কি? দরকার লাগলে জানিও। বাড়ি ঠিক করে দেবো। তবে দিন দুয়েক সময় লাগবে কিন্তু।”
রমা ” তার দরকার হয়তো হবেনা কারন অফিস থেকে গেষ্ট হাউস এ্যালট করেছে আমার জন্য। আসলে আমি ওখানে ট্রান্সফার হয়েছি আমাদের কোম্পানির কান্ট্রি হেড হিসেবে।”
বিল্টু “ও আচ্ছা। খুব ভালো কথা। ভালো থাকবে। তবুও যদি কখনও মনে পড়ে আমাকে জানিও।”
রমা ” একদম। কোন চিন্তা করবেন না। দরকার পড়লেই নক করবো।”
সুজন “রমা তোমাকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা। খুব ভালো ভাবে দিল্লী পৌছে অফিস যাওয়া শুরু করো। তবে নতুন জায়গায় অনেক সময় বিপদ আপদ আসতে পারে তাই যখনই কোন বিপদে পড়বে এই অধমকে স্মরণ করবে। সামনাসামনি হাজির হয়ে যাবে। আমি দিল্লীতেই থাকি চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায়।”
রমা “তাহলে তো খুব ভালো হবে। ছুটির দিনগুলোতে বিকেলে একসাথে কফি খেতে খেতে গল্প করা যাবে।”
সুমন “রমা সবার কমেন্ট দেখছি। খুব ভালো লাগছে সবাই এতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলে। তা তোমার পুরো নামটা কি গো রমা।”
রমা “রমানাথ গঙ্গোপাধ্যায়”
হঠাৎ ফেসবুক জুড়ে নেমে এলো এক চরম নিস্তব্ধতা। যেন কিছু আগেই ফেসবুকের উপর দিয়ে আম্ফান ঝড় বয়ে গেছে। সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বরুন, রতন, বিপ্লব, বিল্টু, সুজন সবাই একেবারে চুপ। কারুর চ্যাট আর এক কলমও এগোচ্ছে না।
আম্ফান ঝড়ের আফটার শক
বরুন লেফ্ট দ্য মেসেঞ্জার
রতন ব্লক রমা
বিপ্লব আনফ্রেন্ড রমা
বিল্টু নো এ্যাকশন। মৃতপ্রায়।
সুজন ব্লক এ্যান্ড ডিলিট রমা।
আর সুমন…………….।