চাহিদা পূরণ – পর্ব ৪৪
সুমেধা একভাবে তাকিয়ে থাকে অফিসারের দিকে, মনে হয় যেন দমবন্ধ হয়ে আসছে। অফিসার: যে ফোন নম্বর থেকে রিক্তার লাস্ট কল এসেছিল সেই মোবাইল নাম্বার ট্রেশ করা হয়, সেটা ফেক আইডি দিয়ে নেওয়া, কিন্তু চেহারার বিবরণ থেকে ধারণা দৃঢ় হয়, সেইজন্য আপনাকে ফিঙ্গার প্রিন্টের গল্প ছড়িয়ে দিতে বলা হয়,আর খুনী ফাঁদে পা দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে, আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলে খুনের স্বীকারোক্তি আদায় করতে পেরেছি। সুমেধা: কে? অফিসার: সুবল সোরেন। সুমেধা: হতচকিত হয়ে যায়, কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব! সুবল দাতো অফিসের কাজে বাইরে ছিল! অফিসার : খুনের দিন সকালে ফিরে আসে, রিক্তার হোটেলে ডেটিং এর খবর শোনে এক বন্ধুর থেকে, চাপা রাগ এবং ব্যর্থ প্রেমিক ছল করে রিক্তাকে ডেকে কোল্ড ড্রিংকস এ নেশার ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায় এবং তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে। সুমেধা ধপ করে বসে পড়ে বলে ভাবতে পারছি না সুবল দা খুন করতে পারে। অফিসার: আপনার বসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তবে জানি না আদৌ কোর্টে শেষ পর্যন্ত খুনী শাস্তি পাবে কি না, আপনি নিজে সাবধানে থাকবেন। থানা থেকে দেবাংশুকে ফোন করে সুমেধা, দেবাংশু কিছু সময় পর পৌঁছায়, দুজনে একসাথে বাড়ীর জন্য রওনা দেয়। দেবাংশু সব কথা শোনার পর আস্তে আস্তে বলে অফিসে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে, তুমি সচেতন হয়ে নিজের কাজ করবে, যদি মনে হয় অন্য কম্পানি জয়েন করতে চাও তবে নতুনভাবে নিজেকে তৈরি করো, যে কোন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুমেধা মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়, মোবাইল অন করে কিছু ইমেইল চেক করে, আনমনে তদ্ভবের নাম্বার ব্লক করে, মার্কেট দিয়ে যাওয়ার সময় বলে জোজোর স্কুলের জন্য কিছু জিনিষ লাগবে একবার গাড়িটা দাঁড় করাও। দেবাংশু সুমেধার হাতে হাত রেখে বলে আমি জানি তুমি এই মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে পারবে, আমরা একসাথে আমাদের ছেলেকে চেষ্টা করবো যেন একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে।