চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৭
অফিসে ঢুকে সুমেধা দেখে পাঁচ সাতজন জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে, সুমেধাকে দেখতে পেয়ে চরু দা এগিয়ে এসে একটু ইতস্তত করে বলে আপনি জানেনতো রিক্তা দি আর নেই, সুমেধা:হ্যাঁ, জানি।চরু দা বড়ো ভালো মেয়ে ছিল, বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট,সব সময় হেসে কথা বলতো, এমন সুন্দর মেয়েটাকে অবশেষে খুন হতে হলো, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না….. সুমেধা চোখের জল সামলে নিয়ে বলে সত্যি কখনো কখনো বড়ো নিষ্ঠুর হয় চরু দা।চরু দা একটু থেমে সুমেধার দিকে তাকিয়ে বলে স্যার আপনাকে খুঁজছিলেন, আমি বলতে ভুলে গেছি। সুমেধা অল্প মাথা নেড়ে বসের কেবিনে গিয়ে দেখে বস মাথা নিচু করে বসে আছেন। সুমেধা:আসবো স্যার? বস মাথা তুলে বলেন এসো মানে আসুন, আপনার জন্য অপেক্ষা করছি, যেহেতু রিক্তার সঙ্গে আপনার সুসম্পর্ক ছিল তাই আপাতত:আমি, আপনি,চরুদা থানায় যাবো, তারপর দেখা যাক ঘটনা কোন দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়,এই মুহূর্তে বেশি কিছু ভাবতে পারছি না, অফিসের অনেক কাজ বাকি তারমধ্যে এই অঘটন, জীবনে আরো কতকিছু দেখতে হবে… সুমেধা:স্যার কোথায় ঘটেছে কিছু জানেন? বস: কাল রাত দশটা নাগাদ রিক্তা একটা ফোন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়, অনেকক্ষণ ফিরছে না দেখে রিক্তার মা এগিয়ে দেখতে যায় কোথাও দেখতে না পেয়ে পাড়ার ছেলেদের জানান, ছেলেরা বাইকে আশপাশে ঘন্টা খানেক পর ওদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে রিক্তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়, সবথেকে দুঃখজনক বাড়িতে বাবা অসুস্থ , বাড়ির একমাত্র earning member যেটুকু জানি। এখন থানায় চলুন, একটা রিকোয়েস্ট একটু বুঝে উত্তর দেবেন, কম্পানির মান সম্মান জড়িয়ে আছে আমাদের প্রতিটা কর্মচারীদের সঙ্গে। সুমেধা একবার বসের দিকে তাকিয়ে বলে চেষ্টা করবো স্যার।বস: চলুন এবার বেরোই, আমি ড্রাইভারকে ফোন করছি।