চাহিদা পূরণ – পর্ব ২৬
অফিসের প্রোজেক্টের সাফল্য রূপায়িত হয়েছে ভাবতে ভালো লাগলেও কি যেন একটা দুশ্চিন্তা রাতে গ্রাস করে সুমেধাকে, নীতার মুখটা যেন ভেসে ওঠে, শশুরবাড়ি স্বচ্ছল পরিবার হলেও নীতা নিজে এই মুহূর্তে বেকার, অফিসে সুস্থিত ভাবে আচরণ করতে হবে, নীতা বায়োডেটা পাঠিয়েছিল,সুযোগ পেলে বসকে একবার বলে দেখবে, নীতা কাজে মনোযোগী, অনুভবী, অফিসে জয়েন করলে ভালো হবে।সাত পাঁচ চিন্তা ভাবনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে সুমেধা।
ভোরের আলোতে যাবতীয় ক্লান্তি মুছে যেন নতুন সজীবতা খুঁজে পায় সুমেধা, আলতো ভাবে জোজোকে জড়িয়ে ধরে একটু আদর করে, কিন্তু সময়ের পরিমিত ব্যবহার করতে হবে কারণ জোজোর স্কুল আছে। রান্নাঘরে গিয়ে চা বসিয়ে, মনে হয় একবার বাগানে যেতে ইচ্ছে হয়, আলতো পায়ে বাগানের শিশির ভেজা ঘাসে কিছুটা হাঁটতে থাকে,গুন গুন করে গান করতে থাকে, হঠাৎ খেয়াল হয় চা বসিয়ে এসেছে, রান্নাঘরে গিয়ে দেখে চায়ের জল ফুটছে, চটপট চা, টিফিন বানিয়ে ফেলে, শাশুড়ি মার চা ঘরে রেখে, নিজের চা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখে জোজো নিজে ঘুম থেকে উঠে টেডি নিয়ে খেলছে, হেসে ফেলে সুমেধা বলে সকালবেলা ঘুম ভেঙ্গেই খেলা শুরু, চল স্কুলের জন্য রেডি হতে হবে। জোজোকে স্কুলের বাসে তুলে দিয়ে, টুকিটাকি কিছু জিনিষ নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে নীতার সঙ্গে দেখা হয়, সুমেধা বলে আমি তোর বায়োডেটার হার্ডকপি বের করেছি,যদি সুযোগ হয় আজ বসকে জমা দেবো। নীতা:সুযোগ যদি হয় দেখিস, আমি চেষ্টা করছি, গতকাল এক জায়গায় ইন্টারভিউ দিয়েছি, আগেরটার কোনো উত্তর এখনো পাইনি। সুমেধা: হুম, এইভাবে চেষ্টা করতে থাক, নিশ্চিত কোথাও পেয়ে যাবি, এখন আসছি, বেরোতে হবে। নীতা:হ্যাঁ, তোর অফিসে দেরি হয়ে যাবে,আমি ফোন করে নেব তোকে। সুমেধা: ওকে,বাই।