Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » চার দেওয়াল এবং একটি খাট || Samaresh Majumdar

চার দেওয়াল এবং একটি খাট || Samaresh Majumdar

ভালোবাসা মরে গেলে ঘৃণা হয়ে যায়। কিংবা এমনও তো বলা যেতে পারে, যে কোনও ঘৃণার আগে সেই ভালোবাসার শব রয়ে যায়, ডিঙিয়ে কিংবা এড়িয়ে ঘৃণায় বিদ্ধ হতে হয়। কিছু ফিরে তাকিয়ে বুকে জমা মেঘগুলোকে স্পর্শ করতে চাইবার আগেই কখন যে তপ্ত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, হায়, একটা জলের দাগও রেখে যায় না। এখন সেই ভাঙা টুকরো আগুন যা কিনা পোড়া কাঠের তলায় গনগনে তাই আগলে বসে থাকা, শুধু সতর্ক চোখে বাতাসের পথ রুদ্ধ করা যাতে দাবানল না ছড়ায় এবং এইভাবেই দিনগুলোকে খরচ করে যাওয়া। নীতিশ আর পৃথার সম্পর্ক এই রকম মুখ বুজে থাকায়।

ভাইরা শরিক কিন্তু বন্ধু নয়। পাঁচজনের পাঁচটি ঘরকে এখন কারোরই অন্ধকূপ মনে হয় না। পিতৃদেবের রেখে যাওয়া এই নোনালাগা বাড়ির আধা-আলো-মাখা ঘরটিতে নীতিশকে রাত থমকে গেলে ফিরে আসতেই হয়। খাটের ওপর, যে খাট তোষক গদি পনেরো বছর আগের ভালোবাসা নিয়ে বিয়ের সকালে এসেছিল মুটের মাথায় পৃথার বাড়ি থেকে, শুয়ে আছে ছড়িয়ে গুটিয়ে তিন ছেলেমেয়ে উলঙ্গ রাজার মতো। পনেরো বছর তোষক গদি হয়তো বা খাটটাকেও নিঃশেষ করেছে, আরামের ফাঁপা তুলো এখন গুটিয়ে একাকার। পৃথা আগে বলত, এখন মুখ। বুজে থাকে, ওটাকে পালটানোর কথা ভুলে গেলে চোখে ঠেকে না। রোজ দেখে-দেখে অনেক। কিছুই চোখ সয়ে নেয়। ওই যেমন চিমসে তোষক তেমনি পথার শরীর, যা ছিল রজনীগন্ধার।

ডাঁটার মতো তা কিনা হ্যাঙারে ঝোলানো খাটো হয়ে যাওয়া শার্ট, শরীর কোনও শরীরকে টানতে পারে না আর। এখন চারধারে হাঁ-হাঁ অভাব, নিত্য কলহশরিকদের সঙ্গে, মাসান্তের বেঁধে দেওয়া টাকাটা তুলে দিতে প্রাণান্ত হয় নীতিশের, যা দিলে বারোয়ারি ভাত ডাল দুবেলা আসে একান্নবর্তী হেঁসেল থেকে। বিয়ের, ভালোবাসার বিয়ের দু-বছর ছিল খুব মোলায়েম। প্রথম সূর্যের রং-লাগা জীবন, বড় পাবলিসিটি ফার্মের শিল্পী নীতিশ তখনও আধুনিক ছবি আঁকে, বন্ধুদের নিয়ে অ্যাকাডেমিতে প্রদর্শনী সাজায়, হয়ত কখনও বিক্রি হবে এই আশায়। অর্থ আসে সব কিছু মানিয়ে নেওয়ার মতন। রাতগভীরে পৃথা বুকে মুখ গুঁজে যে শব্দ উচ্চারণ করত না তা হল এখানেই মরে যেতে চাই।

তারপর যা কিনা অমোঘ তাই হল সিঁড়ি না ভেঙেই। বেপরোয়া বশ্যতা স্বীকার ধাতে নেই নীতিশের। চাকরি গেল কিন্তু অন্যত্র এল ফিরে। সেখানে মিলল না যখন মন তখন নিজেই স্বাবলম্বী হবার জেদ এল। তুলিটা জানা ছিল কিন্তু ব্যবসাটাকে নয়। ধারে-ধারে বিকিয়ে যেতে যেতে সামাল দিল পৃথার গয়না। আর অক্ষমতা এবং অভাব কখন কুরে-কুরে খেয়ে নিল। সম্পর্কটাকে। যা ছিল এতদিন ঔদার্যের ঢাকনা দেওয়া তাকে একটানে ছুঁড়ে ফেলা হল একদিন। সন্তানেরা এসে গেছে এতদিনে। তাদের মুখ চেয়ে পৃথা প্রথম প্রথম কাঁদত। হায়, কান্নার জল যে আগুনের থেকেও উষ্ণ কখনও। এখন ওরা পরস্পরের সম্পর্কে নিরাসক্ত। শুধু দিন পার করে যাওয়া। বিয়ের খাটটার একপাশে পা গুটিয়ে শোয় পৃথা, সারাদিন শরিকদের বউ-এর হাজার খোঁটা হজম করে ক্লান্ত শিরায় জড়ানো। হাত তবু নেতিয়ে পড়ে থাকে শিশুদের ওপর। খাটের। অন্য কোণে চিলতে জায়গায় গা এলিয়ে দিলেই ঘুম ডুবিয়ে দেয় নীতিশকে। বিছানার চাদরটার গায়ে সূচ-সুতোর সঙ্গে পৃথার স্পর্শ পিঠে ঠেকে না তার।

ডালহৌসির তিনতলায় সদ্যপ্রান্ত চাকরির নামটি বেশ ভরাট, বেতন নয়। ভেসে না বেড়িয়ে এখানেই দু-মাস নোঙর গেড়েছেনীতিশ। সাকুল্যে দুটি পরিষ্কার শার্ট এবং নিত্য দাড়ি কামানো সত্বেও পায়ের প্লাসটিকের চটি অস্বস্তি দেয়। নীতিশ শেষ প্রতিজ্ঞা করেছে অবাধ্য হবে না এখানে। সেদিন সকালে একজন বড় ক্লায়েন্ট এলেন। তাঁর জুতোর ব্যাবসা। বিজ্ঞাপনের লে। আউট করে রেখেছিল নীতিশ, মালিকের ঘরে ডাক এলে নিয়ে গিয়ে দেখাল। ক্লায়েন্ট নেড়েচেড়ে দেখে বললেন, আরও স্ট্রাইকিং করলে ভালো হত। জুতো নিয়ে আধুনিক কবিতা কেউ লিখছে কিনা খোঁজ নেবেন?

মাথা নেড়েছিল নীতিশ, অবাধ্য হবে না সে।

ক্লায়েন্ট বলেছিল, আপনি ছবি আঁকেন?

মালিক বলেছিল, হ্যাঁ, বিজ্ঞাপনের ছবি।

সেই দুপুরেই বিজ্ঞাপনটিকে আর একবার পালটে ওর অফিসে নিয়ে গিয়ে দেখানোর হুকুম হল। পিয়ন যায় এসব কাজে। মালিক বলল, বড় পার্টি, আপনিই যান।

আধুনিক কবিতার লাইন পেয়ে গেছে নীতিশ। এবারও অবাধ্য হল না। ঠান্ডা ঘরে বসে সেটা দেখে ক্লায়েন্ট বেশ খুশি। সিগারেট ধরিয়ে বললেন, আপনার সঙ্গে এখনকার বড় মডার্ন। আর্টিস্টদের আলাপ আছে?

না বলতে নেই, এতদিনে জেনে গেছে নীতিশ।

তাহলে আমার একটা উপকার করুন। আমার এক বান্ধবী এসেছেন সুইজারল্যান্ড থেকে। ওর ভারি শখ এখানকার আধুনিক ছবি দেখার। আমি তো আদার ব্যাপারি, আপনি একটু ঘুরিয়ে দেখাবেন?

সামান্য দ্বিধা কিন্তু মুহূর্তেই হাঁসের ডানা ঝটকালো নীতিশ।

হুকুমমতো গ্র্যান্ড হোটেলে চলে এল সে। বান্ধবীর বয়স হয়েছে। কিন্তু পঁয়ত্রিশে পৃথা যা হারিয়ে বসে আছে পঞ্চান্নে ইনি তা সাজিয়ে রেখেছেন। বাঙালির ছেলে কম বললে ইংরেজিটা ভালো হয়। দামি গাড়িতে করে বিদেশিনিকে নিয়ে নীতিশ এল অ্যাকাডেমিতে। ওখানে তো প্রদর্শনী লেগেই থাকে। মহিলা ঘুরে-ঘুরে দেখলেন। কোনওটায় ফরাসি প্রভাব কোনওটায় জাপানি চুলচেরা বিচার করে তিনজন নামীর নাম বললেন, ওঁদের ছবি দেখতে চান। অনেক কষ্টে অ্যাকাডেমি থেকেই ঠিকানা জোগাড় করে ছোটা হল। জানা গেল কেউ দিল্লি কেউ বোম্বাই আবার কেউ সাগরপারে পাড়ি দিয়েছেন। খুব নাম হয়ে গেলে এদেশে থাকার সময় পাওয়া যায় না বোধহয়। কিছুক্ষণ একসঙ্গে থাকলে বাঙালিরা বেশ ভাব করে নিতে পারে। ভাঁড়ের চা খেয়ে বিদেশিনি শুধোলেন, তুমি কমার্শিয়াল আর্টিস্ট?

ঘাড় নাড়ল নীতিশ, তবে এককালে ছবি আঁকতাম।

আচ্ছা! চলো তোমার বাড়িতে গিয়ে ছবি দেখে আসি।

সঙ্গে-সঙ্গে পাথর হয়ে গেল নীতিশ। চার শরিকের নোনাধরা চোখের সামনে ঘেমো গন্ধমাখা পৃথার অগোছালো ঘরে এঁকে নিয়ে যাওয়া যায়?

মহিলা নাছোড়বান্দা। বললেন, সঙ্কোচের কোনও কারণ নেই। ভ্যানগগ, রদার জীবনী পড়োনি?

খেয়াল মাথা চাড়া দিলে আকাশ হাতের মুঠোয় আসতে বাধ্য হয়। বিশাল গাড়ি অবশ্য গলিতে ঢুকল না। বিদেশিনিকে দেখে কৌতূহল সবার। নীতিশ পা ফেলছে ইঁদুরের মতন। হায়, একটা কাপও নিটোল নেই যাতে চা দেওয়া যায়! বাড়ির সামনে এসে নীতিশবলল, আপনার খুব অসুবিধে হবে কিন্তু।

ফ্যান্টাসটিক! মহিলা খুঁটে দেখছিলেন, তোমার স্টুডিও কোথায়?

স্টুডিও! হাসি পেল নীতিশের। সরু প্যাসেজ দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই তেরো বছরের ছেলেকে দেখতে পেল, চটপট মাকে গিয়ে বল খাটের তলা থেকে ছবিগুলো বের করে ধুলো ঝেড়ে রাখতে।

জন্মইস্তক এই বাক্যটি না শোনায় ছেলেটি ঘাবড়ে গিয়ে বিদেশিনির পা দেখতে লাগল হকচকিয়ে। নীতিশ কী করবে বুঝতে পারছিল না। এঁকে কোথায় বসানো যায়? এ বাড়িতে একটিও বাড়তি ঘর নেই। শেষ পর্যন্ত সবার চোখের সামনে দিয়ে সে আধা অন্ধকূপে নিয়ে এল। বিদেশিনিকে। অনেকদিন পর মনে হল এই ঘরটায় সত্যি মানুষ বাস করে না। এত নোংরা হয়ে কোনও মানুষ থাকতে পারে না। বিছানায় ছেঁড়া চাদর, আলনায় স্কুপ হয়ে থাকা কাপড়, দরজায় দাঁড়ানো শরিকদের বউ এবং ছেলেদের মুখ দেখতে-দেখতে একটা নড়বড়ে চেয়ার এগিয়ে দিল সে বিদেশিনিকে, এটা আমার ঘর।

তোমার স্টুডিও?

একদিন এটাই আমার স্টুডিও ছিল। কথাটা শেষ করে উবু হয়ে খাটের তলা থেকে ধুলো এবং ঝুল জমে থাকা ছবিগুলো বের করতে গিয়ে একটু হোঁচট খেল সে। কতদিন এদের দ্যাখেনি সে কিন্তু প্রথমে ছেঁড়া কাপড় এবং তার নীচে কাগজ মুড়ে সযত্নে রাখা আছে ছবিগুলো। কে করল, জিজ্ঞাসা নয়, কবে করল এটাই ঢেউ তুলল আচমকা।

ধুলোর প্রলেপ কাপড়েই লেগেছিল। কিন্তু বোঝা যায় প্রায়ই হাত পড়ে এখানে। বাঁধন থেকে মুক্ত করতেই ঝকমকে ছবিগুলো বেরিয়ে এল। পনেরো বছর আগে সেই খাঁটি বাংলোদেশের গন্ধমাখা আধুনিক মননের ছাপ যে ছবিগুলোতে সেগুলো দেখে নিজেরই বুকে কাঁপুনি এল। সেকালে শুধু প্রদর্শনীতেই ঝুলেছিল মাত্র। বিদেশিনি গালে হাত দিলেন। ছবিগুলোকে কীভাবে এই ছোট্টঘরে সাজানো যায়? শব্দে মুখ ফেরাল নীতিশ। পৃথা এখন ঘরে। ছোট্ট দুটো শব্দ কী হবে?

নীতিশ প্রশ্ন শুনল অনেকদিন পরে, উনি সুইজারল্যান্ড থেকে এসেছেন। ছবি দেখতে চাইছেন।–আমার স্ত্রী।

বিদেশিনি হাসলেন। পৃথা নিজেকে দেওয়াল করে একটার পর একটা ছবি তুলে ধরছে। বিদেশিনি চেয়ার ছেড়ে সেগুলোকে খুঁটিয়ে দেখছেন। সাকুল্যে আটটি, কিন্তু পৃথাকে দুবার দেখাতে হল। শেষ পর্যন্ত দুটি ছবিকে বারংবার দেখলেন মহিলা। পৃথাকে বললেন, তোমার স্বামীর হাত কিন্তু বেশমিষ্টি। এই ছবি দেখলে কেমন একা লাগে নিজেকে। ইংরেজি শব্দ, অস্পষ্ট উচ্চারণ কিন্তু ভঙ্গিতে যে মায়া থাকে তাতে বোধের তারে কাঁপন লাগে। পৃথা মুখ নামাল।

প্যাক করার মতন ব্যবস্থা নেই এ ঘরে। মুড়ে দিতে হল। বিদেশিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কত দাম বল?

পকেটে হাত ঢুকিয়ে আকাশপাতাল ভাবল নীতিশ। বিদেশিনি বুঝলেন কিনা জানা নেই, ব্যাগ খুলে দু-হাজার টাকা টেবিলে রাখলেন। বললেন, আমি জানি না, কম দিলাম কিনা, তবে তোমার ছবি আমার দেশে দেখাব। হয়তো তোমার কাছে আরও অর্ডার আসবে। তোমার ঠিকানাটা লিখে দাও এখানে।

দামি গাড়ি ছবি দুটোকে নিয়ে ফিরে গেল হোটেলে। নীতিশ এখন আড়ষ্ট। ছবিগুলো অমন সুন্দর হয়ে ছিল কী করে? উত্তরটা সে জানে বলেই আড়ষ্টতা বেশি। এরকম কখনও হয়? মহিলার যেচে এসে ছবি কেনা এবং অজান্তে ছবিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা, কোনটা বেশি সত্যি?

খবর হাওয়ায় ছড়ায়। ঈর্ষান্বিত হলেও মুখে হাসি রাখতে জানে। রাত্রে বাড়িতে ফিরতেই। শরিকদের সেই সব হাসিমুখের কৌতূহল মেটাতে হল। ঘরে ঢুকে দেখল টেবিলে দু-হাজার টাকা তেমনি একটা কিছু চাপা দেওয়া। বড় দুই ছেলে সেদিকে মুগ্ধ চোখে চেয়ে আছে টেবিল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে।

খাওয়া হল। রোজ যেমন হয়। ছেলেরা শুয়ে পড়লে নীতিশ বলল, ওগুলো বাইরে পড়ে আছে। দিনকাল খারাপ।

পৃথা বলল না কিছু। মাথা আরও নীচু হল তার।

আজকের রাত্রে শোওয়ার ব্যবস্থাটা একটুও পালটালো না। তবে চিলতের বদলে আরও একটু বেশি জায়গা পেল নীতিশ। এখন লোডশেডিং। এই ঘরে হাওয়ারা আসে না। নীতিশের খুব ইচ্ছে করছিল পৃথাকে স্পর্শ করতে। ছোট শিশুর মতো পায়ের তলায় গুটিয়ে শুয়েছে পৃথা, রোজ যেমন শোয়।

নীতিশ বলল, বড্ড গরম।

পৃথা জবাব দিল না।

নীতিশ বলল, শোওয়ার বড় অসুবিধে হচ্ছে না?

পৃথা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, খাটটাকে বাড়ালে অসুবিধে হবে না।

খাট?

নীতিশ মৃদু গলায় জানাল, খাটটাকে বাড়ালে দেওয়ালে ঠেকবে না?

খুব ধীরে অথচ স্পষ্ট গলায় পৃথা বলল, তাহলে দেওয়ালটাকে সরিয়ে দাও আর একটু।

ভালোবাসা মরে গেলে ঘৃণা হয়? কোথাও কি জলের দাগ লেগে থাকে না? কিংবা এমনও তো বলা যায় যে চোখের জলে তাপ লাগলে গনগনে আগুন জ্বলে, সেই জল জুড়িয়ে গেলে নিশ্চুপ অভিমানে মুখ লুকোয়। নীতিশ কোথায় যেন এমনটা পড়েছিল। কিন্তু সে জানত না ঘৃণা। বেঁচে উঠলে ভালোবাসায় পৌঁছে যায়। শুধু দেওয়ালটাকে বড় করার জন্যে যেটুকু অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress