বিহার থেকে পালিয়ে আসা শাঁখা পরা যোল বছরের মেয়েটি
পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাথ থেকে চাঁদ দেখতে পেয়ে বললো:
‘এ শালা আমার বরের মতো হারামি, পেছন ছাড়ে না দেখছি’
একজন মাতাল হাঁটছিল, চাঁদ সম্পর্কে মাতালদের মতামত পরিষ্কার
তারা কখনো আকাশে একটা চাঁদ দেখে না, তারা দেখে দুটো
মাতালকে যখন পুলিশ ধরতে এলো, মাতাল বললো, কেন আবার ধরপাকড়
একটা চাঁদ তোমাদের, একটা আমাদের।
কিন্তু কবিরা, বিশেষ করে আধুনিক কবিরা একটু বেশি আশাবাদী
তাদের ধারণা আগামী ৫০ বছরের মধ্যে চাঁদের মাটিতে
ছোট ছোট স্কুল খোলা হবে, সেখানে তাদের কবিতা সিলেবাসে রাখা হবে
চাঁদে কবি সম্মেলন হলে সেখানে তারা আমন্ত্রিত হয়ে কবিতা পড়তে যাবে
চাঁদে যারা কবিতা পড়তে যাবে তাদেরকে গালাগাল দেবে
চাঁদ-বিরোধী লিটল ম্যাগাজিন
চাঁদের নিজের কোন আলো নেই সেটা আমরা ভুলেই গিয়েছি
যেমন ভুলে গিয়েছি কমিউনিস্ট বাড়ির মেয়েদের কিছু অবদমিত ইচ্ছা থাকে
তাদের জীবন হল ওপরে সস্তা শাড়ি নীচে ভীষণ দামি ব্রা
যারা বড়লোক তারা চাঁদকে কেয়ার করে না
শজনে ডাঁটার মতো এক রাগী অধ্যাপিকা বললেন : চাঁদ আর মেয়ে
এই দুটো জিনিশ দেখলে আপনাদের মাথার ঠিক থাকে না।
সর্বহারা এক কৃষক গোধূলিবেলার পুকুরে এসে স্নান করছিল
চাঁদ সোজা নেমে এলো সর্বহারার পুকুরে, চাঁদ সর্বহারাকে জড়িয়ে ধরলো
সর্বহারা চাঁদকে জড়িয়ে ধরলো, তাহলে একেই বলে
চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে?
চাঁদ নিয়ে যত ইয়ার্কিই আমরা করি না কেন
যার জীবনে একটুকরো চাঁদের আলো এখনো এসে পৌঁছয়নি
সে জীবন বড় দুঃখের,
সে জীবনে না আছে চাঁদের এপিঠ না ওপিঠ।