চলো কিছু বিক্ষুব্ধ কথা লিখি ,
চলো মোমবাতির মিছিল করি ,
উপলক্ষ !
আরে দূর ,ইস্যু তো নাকের ডগায়।
হতেই পারে –
মূল্যবৃদ্ধি বা ধর্ষণ বা পেগেসাস বা বা বা ব্যা ব্যা ব্যা,
আরে হল কি,ভেঁড়ার ডাক আসছে কেন ,শ্লোগান কৈ ?
কি বলি দাদা , খালি পেটে কি বিপ্লব আসে ।
আমার টাকায় আমাকেই মুড়ি চানাচুর দিয়ে ডিমগুলো গেল মঞ্চে ,
বলি ও দাদা নেতারা কি ওই ডিমগুলোতে #তা দিয়ে নতুন ডিমখেকো নেতা প্রসব করবে ?
আমরা তো ঘরে এমনিতেই মুড়ি চানাচুর খাই ,
তাই বলে ট্রেনের ভাড়া পকেটে পুরে ঝান্ডা উঁচিয়ে যে বিনা টিকিটে বেরিয়ে এলাম, দেখি তোমার মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি ,
বলি ও কত্তা, ওই টিকিটের টাকা মেরে কি তোমার মেয়ের দুধের কৌটোর দাম উঠল ?
আমাদের তো ছানাপোনারা ফ্যান খায় ,
বুঝলে বেশ পুষ্টিকর। গতর দেখছ তো, টিনের খাবার হার মানে ।
ফেরার পথে আট কিলোমিটার বাসের টিকিট ফের কাটলাম , ভাড়া তো তোমাকে আগাম দিয়েছিলাম,
নিশ্চয়ই বৌদির জন্য কিছু কিনলে !
কত্তা একটা কথা কানেকানে বলি , রাগ কোরো নি,
ইঁট বালি সিমেন্ট পাথর আর লোহা কোত্থেকে পেয়েছিলে তা জানি না , উঁচু থাকের কথা , তবে
যে ঘাম ঝরিয়েছিলাম তার দাম কি পার্টির বছরের চাঁদাতেই ঢুকে গেছে ?
আজ দেখ তুমি আমসত্ব খাচ্ছ আর আমরা আমের ছালা।
শোষিত, নিপীড়িত, শৃঙ্খলাবদ্ধ তারা নেই
সব শেষে তাই বাংলা বর্ণমালায় আসে চন্দ্রবিন্দু ।
যিনি বা যে বা যা – ভোগীদের জন্য নরকবাসী,
চন্দ্রবিন্দু সহকারে।
ভাঙা সাইনবোর্ড ছাড়া আর কি !
বিপ্লবের লাল রক্ত আজ শুকিয়ে কালচে –
তোমাদের প্রতিরূপ।