জল থৈ থৈ শাওন ,বিনোদিনী বরষা!
এগিয়ে চলে জল নূপুরের ছন্দে, আলতা পায়ে।
রুনুঝুনু সুর তোলে জল তরঙ্গ।
বৃষ্টি ভেজা কদম কেয়া শিহরণে কেঁপে কেঁপে ওঠে।
সোহাগী হাওয়াটা যে বারবার ছুঁয়ে যায়—
কত কি যে কয়ে যায়—-
ঘর বিবাগী মন দোহার ধরে বরষার!
রিমঝিমঝিম তানে মাতাল হাওয়ার সাথে বেরিয়ে পড়ে।
শ্যামাঙ্গী বরষার শ্যামলিমা তে ডুব দিতে।
বাউল মনের সফর চলে বৃষ্টিভেজা শালের বনে
সোহাগ আলিঙ্গনে ফুল পাতাই, ভালোবাসায় ঘুম ভাঙ্গাই।
” পাতা সই” সোহাগী সবুজ ঘিরে ধরে” হরিয়াল মন”কে!
ক্লান্ত দিনমণির যাবার সময় হয়!
“পাতাসই” মনে করায়—” সই ঘরে ফিরো”—–
বনের আঁধারে শ্যামাঙ্গী বর্ষায় ফিরে চলে ঘর বিবাগী মন,
আপন যাপন বৃত্তে।
জোনাকিরা পথ চেনায়!