কাল রাতে আমি স্বপন দেখিনু চেয়ে,
বসন্ত বলিছে ডাক দিয়া লিখেছিস কবিতা আমায় পেয়ে।
আমি তখন বলিয়াছি তাহারে সুপ্রভাত ডাকিছে সবারে,
ফাগুনের আনন্দে কবিতা লিখিবে সবাই সব ছেড়ে।
দুয়ারে দাঁড়াইয়া আগে দেখো পলাশ আসিয়াছে,
অরণ্য নব পল্লবে কত সুন্দর সাজিয়াছে।
কত স্বপন ছিল এতদিন চলিতে পথে পথে,
আজ কলম চলিবে সবার কাগজের সাথে।
বাতায়ন খুলিয়া দেখিছে বৃদ্ধ আশির যত,
যৌবনের কত না পাওয়ার বেদনার ক্ষত।
শত চেষ্টা করিয়াও পারেনি জানাতে তাহারা,
কোথায় কি করিয়া জানাইবে ভগ্ন হৃদয়ে আছে যাহারা।
আজিকার মতো থাকিতো যদি কোনো সাহিত্য,
লিখিত প্রাণ ভরিয়া বেদনা অশ্রু প্রতিনিয়ত ।
হটাৎ কি মনে করিয়া ডাকিল আমারে তাহারা,
বলিল সজোরে একটু কবিতার জন্য দাঁড়া।
আমি ভাবিলাম একটু না হয় বৃদ্ধাশ্রমের কথা শুনি,
তাহাদের দৈন্যদশা কিংবা অভিমান ভরা দিন গুনি।
একদিন তাহাদের ছিল যৌবন ছিল আনন্দ নিকেতন,
আজ শরীরের জীর্ণ দশায় রইল না কেউ আপন।
শুধু রইল মনের কথা গুলি সুপ্ত বাসনায়,
আজ আমায় পাইয়া সব অন্তরের কথ্য তারা জানায়।
কত অভিসার ছিল হইল না সফল জীবনে,
পূর্ণতা পাবার আগেই প্রেম ডুবিল কত মরণে।
ভানিলাম আমি এইবার বুঝি আসিয়াছে সময় আজ,
শত বৃদ্ধের অন্তরে গাঁথা কাহিনী শোনার সাজ।
মনে মনে ভাবিলাম একটি সঠিক করি কাজ,
যেখানে থাকিবে না সত্য উদঘাটনের লাজ।
কবিতাই আজ ধ্যান জ্ঞান কবিতাই চলার ছন্দ,।
যেখানে অন্য কোন কাজ করিবে না কোন দ্বন্দ্ব।
দিবা রাত্রি কাটাইবো কলমকে সঙ্গী করিয়া,
বীর বিক্রমে লিখবো গোপন কথা সাদা কাগজ ভরিয়া।