সকল সময় নয়, মাঝে মাঝে তাকে মাঠে কিংবা
পার্কে দেখা যায়, একা একা
হাঁটেন, ভাবেন কী-যে সে-কথা জানে না কেউ, শুধু
অনুমান করে নেয় যে যার ধরনে। মনে হয়
কারও সঙ্গে বাক্যালাপে নন তিনি তেমন আগ্রহী। বোঝা যায়
বয়স হয়েছে বেশ, স্বাস্থ্যে ঘুণ ধরেছে আগেই।
যতদূর জানি, তিনি কখনও সবুজ গাছ, ঘাস, কখনওবা
নীল পাখি হয়ে যান, কোনও কোনও গাঢ় সন্ধ্যারাতে
জ্বলেন নেভেন জোনাকির রূপে আর
কখন যে পথের কুকুর হয়ে শহরের অলিতে গলিতে
একলা ঘোরেন মধ্যরাতে, পথিক পায় না টের। কখনওবা
প্রজাপতি হয়ে যান চোখের পলকে। এমনও তো হয়, তার
দু’টি চোখ ময়ূরের চোখ, মাথা ঈগলের হয়ে যায় আর
প্রবেশ করেন তিনি নিমেষেই কোনও কুষ্ঠরোগীর ভেতর।
হয়তো আহার করছেন বসে ডিনার টেবিলে
কারও আমন্ত্রণে চারু পরিবেশে, অকস্মাৎ হয়ে যান তিনি
শীর্ণকায় ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক; কখন যে
মৎস্য শিকারির কায়া করেন ধারণ, পুনরায়
জালবন্দি সামুদ্রিক মাছ রূপান্তরে, বোঝা দায়।
এই তো চরম ভোগী তিনি,
পরমুহূর্তেই তার পরম ত্যাগীর ভ্রাম্যমাণ সত্তা ফোটে এই ভাবে।
ভেবো না এসব ইন্দ্রজাল কোনও, এ পক্রিয়া
বাস্তব ডিঙিয়ে যাওয়া অপর বাস্তব
যার স্পর্শে কারও কারও চেতনাপ্রবাহে
পদ্মের মতোই ভাসমান কুললক্ষণ কবির।