কৃষক জীবন গাঁথা ভরে রয় দুখে,
সারাদিন শ্রম করে দেখে না কো সুখে।
খিদে ভরা মুখ ঘরে ক্ষুধা নাহি মেটে
মুখ বুঝে তবু সবে মাঠে চলে খেটে।
জলে ভিজে রোদে পুড়ে করে যায় চাষ,
ধান,গম,আলু, মুলো হৃদে রেখে আশ।
মহাজন ঋণ দায়ে সব নিয়ে যায়,
অসহায় অভাবেতে কৃষকেরা হায়।
কৃষকের শ্রমে বেঁচে থাকে সারা দেশ,
অভাবের কামড়েতে মনে দুখে রেশ।
সোনার ফসল পেয়ে হলে সবে সুখী
কেউ কিগো দেখে চেয়ে ওরা কত দুখী!
রবি তাপে দেহ পুড়ে ঝরে পড়ে ঘাম,
পায় না কো ন্যায্য তারা ফসলের দাম।
কুঁড়ে ঘরে আধপেটা ব্যথাময় মুখ,
দেখে চোখে ঝরে জল বুক ভরা দুখ।
শ্রমের মূল্য কৃষক ঠিক মতো পেলে,
দুঃখ দশা ঘুচে গিয়ে সুখ ঘরে খেলে।
কৃষকের জীবনটা দুখে ছায় রাশে,
দুখ ভার কমে যাবে যদি থাকো পাশে।