এখন দিচ্ছো না, কষ্ট পাচ্ছি; উগ্র দাবানল
জ্ব’লে উঠেছিলো, তা নেভাচ্ছি; ঠাণ্ডা জল
ঢালছি দাউদাউ বনে; রক্তে কলকল বিষ
মধুর করছি; ভোরে দুটি দোয়েলের শিস
শিশিরের মতো কাঁপে আঙিনার ঘাসে;
ভুলতে চাই, কুয়াশায় তবু মনে আসে
একটি মুখ; এখন দিচ্ছো না, একদিন অতি
অভাবিত, লুফটহানসায় উড়ে, দয়াবতী,
স্বপ্ন এসেছিলে; ছুঁয়েছিলে দশটি আঙুলে,
মাইন নদীর মতো, আর দুলে দুলে
উঠেছিলে পদ্মা; দিয়েছিলে মিষ্ট আপফেল,
কির্শেন, হিমবেরেন; ভাইনট্রাউবেনের উদ্বেল
রস খেতে; আমি মত্ত, তৃষ্ণার্ত, আত্মহারা,
খেয়েছি, গিলেছি ধীর ঘন জাফটের ধারা;
তুমি অভাবিত, আপাদমস্তক, ঝলকিত মণি,
কৃষককে দিয়েছিলে গুপ্ত হীরকের খনি।
মনে পড়ে- আজ মাংসে অতীতের ভিড়,
দুই চোখে ভ’রে আছে সোনালি শরীর।
সবই তোমার দান, চাই নি কখনো, শুভ্র চঞ্চলতা,
যা দিয়েছিলে, তার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা।