বিশ্বকবি কবিগুরু কবির কবি তুমি
জ্ঞানে অজ্ঞানে ঘুমে জাগরণে তোমার চরণ চুমি ।
জন্মিলে তুমি পঁচিশ তারিখ এক বৈশাখ মাসে
প্রতি বছরই কঠিন দহনে এই দিন ফিরে আসে ।
বিরহ বেদনা মানে অভিমানে জন্ম মৃত্যু দিনে
বিবিধ রচনা রচিয়া তুমি নিলে আমাদের কিনে ।
নিজেও সয়েছো কত যে বেদন কত অপমান নীরবে
তাই তো তুমি বিশ্বকবি কবিগুরু আজ গরবের ।
তোমার জীবন তোমার দর্শন তোমার আঁকা ছবি
তোমার কথা তোমার লেখা তুমিই বিশ্বকবি ।
“মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ ” , কালজয়ী উক্তিখানি
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তোমার সৃষ্ট বাণী ।
বিরহে ও শোকে নিশীথে একাকী শয়নে উথলে বারি
তোমার গানেই হৃদয় জুড়ায় সকল বেদন হারি ।
প্রেমে অপ্রেমে তুমিই থাকো সকল হৃদয় মাঝে
প্রাণের ঠাকুর রবিঠাকুর নিত্য সকাল সাঁঝে ।
সঞ্চয়িতা গীতবিতান গীতাঞ্জলীর কথা
উল্লিখিত না হইলে অপূর্ণ এই লেখা ।
সমালোচনার যোগ্য জবাব নোবেল পদক লাভ ,
হরিল যে চোরে করিবে কি ক্ষমা করিবে কি তাকে মাফ ?
হায় রে বাঙালী কাঙালী যে তোরা রাখিলি না তার ধন ..
দীর্ঘশ্বাস ফেলেন কবি ক্রন্দন করে মন !
নোবেলের থেকেও বিশাল পাওয়া গর্ব তোমার কাছে
মুমূর্ষু বাঙালী তোমার লেখায় প্রাণ ফিরে পায় বাঁচে ।
রাখী বন্ধনের সূচনা করিয়া নাইট উপাধি ত্যাগিলে
ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশি গানে বাঙালিকে তুমি জাগালে !
দু’টি দেশের জাতীয় সঙ্গীত তোমার গানেই হয়
তোমার নামের দীপ্ততেজে বিশ্ব জ্যোতির্ময় ।
তুমিই সৃষ্টি তুমিই স্রষ্টা তোমারই জীবন দানে
প্রণমি তোমায় তোমার চরণে ধরায় সকল খানে ।।