চাই না আমি এমন
নেতিবাচক,
তবু যদি হানে সে করাল গ্রাস ?
এ সৃষ্টি ধ্বংসলুপ্ত হতে
লাগবে, কিছু কতক
শতক কাল।
আবার
হরিৎ , নতুন লতা গুল্ম।
গাইবে পাখী কথাগান—-
হিংস্র অহিংস আর বুনো
মানুষ ,
পান করবে অদূষিত
নির্ঝরিনী– জল।
আরো বহুবার রবি,
চন্দ্র , তারা ,জাগবে
হাসবে, পাহাড় -কোল এবং
সাগর সমতল।
“নিউরণ” ভরা মগজ মানুষ —
পোষাকে তখন
করবে দ্বিতীয় চল।
আরও কতক শতক
বর্ষ ধরে
গাইবে নদীরা ছন্দ কলতান।
মানুষ তখন ক্রমে
ধরবে শিকার—
পড়বে, লিখবে
—ভুর্জপত্র দল।
এক গাল হেসে সভ্যতা বুঝি
ফুঁচি মেরে গালে দেবে
এক টোকা।
নিয়ে যাবে টেনে ,
আরও মই বেয়ে ,
আকাশ ছুঁতে
নিয়ে
যন্ত্র নল।
পাঠ নেবে তুমি, পাঠ নেবে
আর —-পাঠ যতদূর চলে।
তবু পিছু পিছু
রূপসুধাময়ী কিংবদন্তি —
রাঙাবে, হাসাবে,
অকারণ করে
ছল।
“জানো, অনেক আগের
সভ্যমানুষ—–
কইত কথা আঙুল দিয়ে
অভ্যাস এক কল?”
“আজগুবি সব
আর বলো না, এসব শুধু
বালখিল্যের
অলীক
রঙজাল।”
“শুধু তাই নয় !
দেখতো কাছেতে অনেক
দূরের —পুকুর বাড়ি ঘর।
বলত , হাসত ,গাইত সবাই—
নিয়ে বাঁশি ,
আর দু-হাতে বাজিয়ে
মাদল “।
অলীক রূপসী কিংবদন্তি
জন্ম নিতোই জোর—
হয়ত অলক্ষ্যে , উস্কে দিতে—
অজানা পাঠের
দুরূহ অতল
তল।
দোলাচলে ঘুরে আর্ত
চাহিদা,
হতাশা, আশায় , আনাচে কানাচে
বিমূর্ত মনের বল—-
জ্ঞান পিপাসার অথ গলি পথে,
বিজ্ঞান জ্ঞান —-
এমনি ভাবে, হয়ত পাবে
ফল।