এক ছিল ছোট্ট বট গাছ
ডাল পাতা ছিল তার অল্প।
তবুও সে মানুষকে ছায়া দিতো
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ।
কত মানুষ থাকতো বসে
তার ওই শীতল ছায়ায়
রাত্রিকালে কত পশুপাখি
ঘুমাতো ওই বটগাছের ডালে।
দিনের বেলায় ছেলেরা দোল খেতো
ডাল থেকে নেমে আসা নামার নিয়ে
এমনি করে কেটে গেলো কিছু বছর
হঠাৎ এক দমকাহওয়া এসে
কিছুটা নুয়ে দিলো ওই বটগাছটারে
কিন্তু তার ডাল থেকে নেমে আসা
নামারটি মৃত্যু থেকে বাঁচালো গাছটারে ।
গাছটা বাঁচলেও পাতাগুলি গেলো ঝরে
তার ছায়া হয়ে গেলো অনেক ছোটো।
ঠিক সেই সময় এক কাঠুরিয়া বের হলো
রান্নার জন্য কাঠ সঞ্চয়ের কাজে।
সামনেই দেখতে পেলো ওই বটগাছটারে।
কাঠুরিয়া কাটতে শুরু করলো গাছটাকে
গরমে কাঠ কাটতে গিয়ে ক্লান্ত কাঠুরিয়া
শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো ওই গাছের ছায়াতে ।
এই দেখে এক কাঠবেড়ালি গেলো রেগে
গাছ থেকে নেমে এসে দিলো পায়ে কামড়ে
কাঠুরিয়া রেগে বলে আমায় কামড়ালে কেন
কাঠুড়িয়াই সে বলে কেমন মানুষ তুমি হে
ক্লান্ত হয়ে শুয়ে আছো যার শীতল ছায়ায়
তাকেই আঘাত করো নিজো স্বার্থের জন্যে।
যাকে তুমি আঘাত করো সে তোমায় দেয় ছায়া
এ যেন ঠিক ছেলের প্রতি বাবার স্নেহ মায়া।
অনেক দিন আছি আমি এই গাছের উপরে
তাই আমার মনে হয় আছি বাবার কোলে
অক্ষম বাবাও যেমন ছেলেকে রক্ষা করে
এই গাছটি জীর্ণ হয়েও ছায়া দেয় মোরে।
তাই আমি যতদিন আছি এই গাছের উপরে
কাঠুরিয়া ,গাছ আমি কাটতে দেবোনা তোমারে।