পরজন্ম সত্য হলে
কী ঘটে মোর সেটা জানি—
আবার আমায় টানবে ঘরে
বাংলাদেশের এ রাজধানী ।
গদ্য পদ্য লিখনু ফেঁদে ,
তারাই আমায় আনবে বেঁধে ,
অনেক লেখায় অনেক পাতক ,
সে মহাপাপ করবে মোচন—
আমায় হয়তো করতে হবে
আমার লেখা সমালোচন ।
ততদিনে দৈবে যদি
পক্ষপাতী পাঠক থাকে
কর্ণ হবে রক্তবর্ণ
এমনি কটু বলব তাকে ।
যে বইখানি পড়বে হাতে
দগ্ধ করব পাতে পাতে ,
আমার ভাগ্যে হব আমি
দ্বিতীয় এক ধূম্রলোচন—
আমায় হয়তো করতে হবে
আমার লেখা সমালোচন ।
বলব , ‘ এ – সব কী পুরাতন !
আগাগোড়া ঠেকছে চুরি ।
মনে হচ্ছে , আমিও এমন
লিখতে পারি ঝুড়ি ঝুড়ি । ‘
আরো যে – সব লিখব কথা
ভাবতে মনে বাজছে ব্যথা ,
পরজন্মের নিষ্ঠুরতায়
এ জন্মে হয় অনুশোচন—
আমায় হয়তো করতে হবে
আমার লেখা সমালোচন ।
তোমরা , যাঁদের বাক্য হয় না
আমার পক্ষে মুখরোচক
তোমরা যদি পুনর্জন্মে
হও পুনর্বার সমালোচক—
আমি আমায় পাড়ব গালি ,
তোমরা তখন ভাববে খালি
কলম ক’ষে ব’সে ব’সে
প্রতিবাদের প্রতি বচন ।
আমায় হয়তো করতে হবে
আমার লেখা সমালোচন ।
লিখব , ইনি কবিসভায়
হংসমধ্যে বকো যথা !
তুমি লিখবে , কোন্ পাষণ্ড
বলে এমন মিথ্যা কথা !
আমি তোমায় বলব—মূঢ় ,
তুমি আমায় বলবে—রূঢ় ,
তার পরে যা লেখালেখি
হবে না সে রুচিরোচন ।
তুমি লিখবে কড়া জবাব ,
আমি কড়া সমালোচন ।