শব্দ, কবির মুদ্রা, রহস্যজ সাম্রাজ্যের আদি ও অন্তিম স্বর্ণ,
কিনে নিচ্ছি হে কিশোরী তোমার চুম্বন, যুবতী তোমার আলিঙ্গন।
তোমার ত্বকের মতো অপার্থিব গুল্মময় অজর সোনালি বর্ণ
জ্বলছে মুদ্রার সোনায়। এ-পিঠে খচিত সাম্প্রতিক অস্থির মশাল
অন্তর্লোকে তুমি দাও স্বর্ণআভা, জ্বলে ওঠে সময়ের কালো অশ্রুজল,
ও-পিঠে আলোক ঢালে তোমার টিপের মতো ধীর স্থির মহাকাল।
রহস্যের অর্থনীতি, কী যে পণ্য মেলেছে সময় সৌরবিপণীতে;
কিনে ফিরি সময়ের পাখিদের স্বর, দুই করতলে ছলোছলো
জলের আলাপ, তুমি শুয়ে আছো কামময় সব শব্দের স্মৃতিতে।
কিনেছি গভীর রাত সবচে সুগন্ধি পুষ্প তোমার ভালোবাসার
অন্তরঙ্গ অভিধান, তোমার দেহের চাপে ফেটে পড়ে এই দেহ
ভেঙে পড়ে অলৌকিক ব্যাকরণ করুণ রক্তিম চারু বাঙলা ভাষার।
মুদ্রাবিনিময় করি সাম্প্রতিক অন্ধকারে তবু সকল সম্ভাব্য
সময়ের সাথে, আমাদের চতুষ্পর্শ্বে গাঢ় দুঃসময়, তাই,
‘তুমি’-ই আমার অন্ধকালে স্বরচিত এক শব্দের মহাকাব্য।