কবিতা পঙক্তির কোলে দেড় বছরের
ফুটফুটে সুধাকে এনে বসাতেই ,
হন্তদন্ত চাঁদ নেমে এসে সুধার কপালে
আয় আয় টিপ দিয়ে গেল !
চাঁদ চলে যেতেই হাজির উসকো খুসকো ঝড় ।
কবিতার উঠোনে এক সুপুরি গাছের
মগডালে চড়ে বসল সে ।
বৃষ্টিকে হাঁক দিয়ে বলল– এসো ভিজি ।
বেচারা বৃষ্টি তো মেঘের বুকে ভয়ে জড়োসড়ো !
মেঘ বলল– বৃষ্টি এখন সদ্য শৈশবে ,
তোমার সঙ্গে হুটোপুটি করতে পারবে না ।
একটু বড় হোক নিশ্চয়ই পাঠাব তোমার কাছে ।
ঝড় তো মেঘের এই কথা শুনে
রেগে আগুন তেলে বেগুন !
রক্তচক্ষুতে আমাকে বলল–
বৃষ্টি না হলে কবিতা জমবে কেমন করে ?
আমি কাঁচুমাচু মুখে বললাম–
দ্যাখো আমি শুধু কবিতায় শব্দ বসাতে পারি ,
যেমন ফুটফুটে সুধা , চাঁদ , ঝড় , উঠোন,
সুপুরি গাছ , বৃষ্টি , মেঘ ইত্যাদি ।
এখন তোমরা যদি নিজেদের কাজ না করো ,
তাহলে আমি কি করতে পারি বলো !
ঝড় একথা শুনে আরও রেগে গিয়ে বলল–
আমাকে ডাকার আগে মেঘকে জিজ্ঞেস করেছিলে ,
বৃষ্টির বয়স এখন কতো চলছে ?
আমি থতমত খেয়ে বললাম– না মানে ,
এ তো আমার কল্পনাতেই আসেনি।
ঝড় , আমার মাথার চুল সামান্য উড়িয়ে দিয়ে
চলে যেতে যেতে বলল– কবিতা-শব্দের
সম্পূর্ণ হাল হকিকত আগে জেনে
তারপর আমাদের ডাকবে ।
বুড়ো হতে চললে , এখনো কবিতায়
সঠিক শব্দ বসাতে শিখলে না হে !