ধ্বংসের মুখোমুখী দাঁড়িয়েও,
কেমন কুৎসা করো নির্ভীক ভাবে।
যে অর্থের বিনিময়ে তোমার বিলাসিতার জীবন-
শত অভিশাপ গ্রাস করে,তোমার অবিশ্বাসী মন।
রাতপাখিরা ডানা ঝাপটায়, অশরীরী আবর্তে,
নগ্ন বাইমহলে ঘুঙুর ছটফটায় নিষ্ঠুর চিৎকারে।
তুমি সুহাসিনী ,তবুও একাকিনী দেবতা,দানব,কিন্নরে।
আমি শীতল হয়ে চাই শিশিরভেজা জলে।
চকিত চমকে কুহকিনী তুমি প্রেম কর উজাড়,
মনের জানালা খুলে দেখি প্রণয়ের প্রেতাত্মা হাসে ।
জলকেলিতে মৃত্যুহীন জীর্ণতা কাটে সাঁতার-
ভেবেছিলাম তোমার হাতেই তুলে দেব প্রাক্তন অপমান।
“কর্তব্যের দিব্যি খেয়ে ক্লান্তি বয়ে যায় প্রাত্যহিক সকাল,
সময়ের পাকচক্রে বৃথাই স্বপ্নসুখ খোঁজে,
সময়ের আবর্তে -আবর্তে জরাজীর্ণ সৈনিক জীবন –
নাগরদোলায় দোল খেয়ে কখন উঠছে,কখন নামছে।
আমার ঘুমন্ত শরীরে অসংখ্যা সূচের চিহ্ন-
বিস্মৃত গোধূলি ফরেনসিকে ক্লু খোঁজে,
যদিও আমি ইতিহাস হবো সবার অগোচরে –
আমায় যে খুন করেছে ওই বাঁশের বাঁশি।