রিমঝিম ঘন বরষায় প্রিয়া এলে মোর ঘরে ফিরে,
পূর্ণিমা রাতে খর্জ্জুর বীথি ধার দিয়ে ভিজে ধীরে।
কবরীতে গাঁথা কুন্দ কুসুম হাসি ভরা মুখ তায়,
আলো ছায়া খেলে সিক্ত কায়ায় জোছনার প্রভা ছায়।
নীলাম্বরির সাজেতে রূপের অপরূপ শোভা সাথে,
রাধিকার ন্যায় রূপ লাবণ্য বর্ষা ধারায় মাতে।
নূপুর গমক বিজলী ঝলক মেঘমল্লার রাগে,
নির্জন রাতে মধুর আবেশে বিভাবরী সুরে জাগে।
আবেগ মোহিত হয়ে প্রিয়া সনে ভিজি বারিধারে দোঁহে,
সোহাগ পিয়াসী ব্যাকুলিত মন ভাসে প্রেম প্রীতি মোহে।
শ্রাবণের ধারা বহে অনিবার নিশি কেটে হলো ভোর,
খুশির যামিনী প্রেম আলাপনে মুখরিত হৃদে ঘোর।
উষসীর কালে রূপ ঝরে পড়ে যেন পবিত্র ফুল,
কত দিন পরে দেখি এই বেশে পিঠ ভরা এলো চুল।
ফুল সাজি হাতে ভোরের বেলায় পূজার পুষ্প তরে,
যেতে ফুল বনে সখীগণ সনে কতনা গল্প করে।
ভাবি মনে তাই তুমি বিনা হায় কত অসহায় আমি,
ক্ষণিকের তরে গিয়েছিলে দূরে একা লাগে দিবা যামী।
আজ কত সুখ হরষিত বুক মধুময় সব লাগে,
তুমি আছো সাথে আনন্দ রাজে কত আশা মন বাগে।