তোমার কথাও মনে পড়ে না
আর, এতোখানি মরে আছি; এবং যখন
মনে পড়ে তোমাকে ভেবেও আর
কষ্ট পাই না, এতোখানি
মরে আছি। দুপুরে ঘুমোই,
মাঝরাতেও একবারও
ভাঙে না ঘুম, বুকের ভেতরে কোনো
দাঁত বেঁধে না আর, এতোখানি
মরে আছি। কেঁপে উঠি না আর
বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা রিকশায়
তোমার মুখের ছায়া দেখে, এতোখানি
মরে আছি। মাঝেমাঝে মনে
পড়ে যখন ছিলাম বেঁচে-ঘুমহীন, রক্তে
নদী আর কারখানার উত্তেজনা, মহাজগতের
শূন্যতা বুক জুড়ে, মাংসে শুধু ক্ষুধা-ক্ষুধা
ক্ষুধা-ক্ষুধা-ক্ষুধা। ক্ষুধা
নেই, না মাংসে না বুকে না স্বপ্নে,
এতোখানি ম’রে আছি। বুকের ভেতরে
খুঁজে খুঁজে একবারও তোমাকে
পাই না, হাতে ঠেকে না তোমার
মুখ, এতোখানি মরে আছি। কতো দিন
দেখি না আকাশ ঘাস, এতোখানি ম’রে আছি।
তুমি আজ অন্য শয্যায় পুলকে
বিহ্বল ভেবেও আর কষ্ট পাই না,
এতোখানি মরে আছি।