আমি কি তোমার মত কবিতা হয়ে উঠতে পারি কবি!
ঘর থেকে বারান্দা পেরোতেই কয়েক শতাব্দী!
অন্তরঙ্গ অনর্গল ডাক দেয় বুকের ভেতর l
প্রবল ঝঞ্ঝা আর বর্ষণে কালবৈশাখীর সুগন্ধী উত্তাপ l
একটা ঘোরের মধ্যে কেটে যাচ্ছে মহার্ঘ সময় l
বেল কুঁড়ি ভিজিয়ে বৃষ্টি এলো!
চন্দন বনের সুগন্ধী মায়ায় ঢুকে পড়ছি যেন,
বৃষ্টির বিন্দুদের রেখেছি হাতের পাতায় l
তুমি বড্ড রোমান্টিক হে কবি-
এ জগতের কাছে যেন ব্যাকুল প্রণয়ী,
সুগন্ধকে স্পর্শ করার আকাঙ্খায়
এক গোপন বিরহী l
অকবির এখন বাউল সময় –
তার চাই সবুজ উষ্ণতা,নরম আলো আর সুবাতাস l
বাউলের দোতারার তারে হাত ছুঁইয়ে বলে
বাতাস সুগন্ধি হও, উষ্ণতা নিরাময় করো l
আলোর হোক অমল দৃষ্টিপাত,
সর্বব্যাপী এক ভালোবাসার কার্পেটে মুড়ে যাক
সব কলুষিত অন্ধকার মেঝে!
মহা পুণ্যের মত, মহা ব্রতের মত তু্মি আছ কবি !
কবি তোমার জন্যেই এখনও বহু পথ হেঁটে যেতে হবে !
পায়ে কাঁটা বিধবেই সে কোথাও মানি –
তবুও যদি মধুরিত পথের শেষে স্বপ্নরা মুকুলিত হয়,
রোদ্দুরের প্রণয়ে আর পাতার সোহাগে!
এখন তাই সূর্য বন্দনার মন্ত্র উচ্চারণ –
‘জবাকুসুম, সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্
ধান্তারিং সর্ব পাপঘ্ন প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।’