একেনবাবু ও বর্মণ বাড়ি রহস্য : 10
দুটো নাগাদ পুলিশ এল। দেখে-শুনে ডেডবডি নিয়ে গেল। একেনবাবু ওসি রমেন গুপ্তকে বললেন, “খন্যানের ডিএইচএল অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখো তো একবার সত্যবাবু একটা চিঠি ক্যুরিয়ার করিয়েছিলেন, সেটা কার কাছে, কোথায় পাঠিয়েছিলেন। জেনেই আমাকে কলকাতায় ফোন করবে। ঘরের দেরাজটা খুলে কাগজপত্র কিছু ওলটপালট হয়েছে কিনা ভালো করে দেখবে। তুঙ্গনাথবাবুর ওষুধপত্রগুলো ওখানেই থাকে, তারও একটা ইনভেন্টরি নেবে। চাবি ওঁর পকেটেই থাকে। ফিঙ্গারপ্রিন্টও দেখো। সেটাও জানাবে।”
“আপনি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন স্যার?”
“যতটুকু জানার জেনেছি, তবে কিছু ফলো-আপ করা দরকার। কাজের লোকদের প্রশ্ন করার সময় পাইনি, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ কোরো। ইন্টারভিউগুলো এসএমএস করে দিচ্ছি তোমাকে। পোস্ট-মর্টেম করতে কত সময় লাগে এখানে?”
“দিন সাতেক লেগে যাবে, স্যার। তবে তার আগে করাতে চেষ্টা করব।”
“বাড়ির সবাই সাসপেক্ট লিস্ট-এ, এঁদের কোথাও যেতে দিও না কিছুদিন। আমার বোনকে নিয়ে যাচ্ছি, অনলাইনে অনেক কাজ করতে হবে ওকে। চিন্তা কোরো না, আমি চোখে চোখে রাখব।”
কথাটা শুনে ওসি হেসে ফেললেন।
“আপনি কি আজকেই ফিরছেন স্যার?”
“হ্যাঁ, এক্ষুনি গাড়ি আসছে। আমারই এক কলিগ গাড়ির বন্দোবস্ত করে দিয়েছে।”
“আমরাও করে দিতে পারতাম, তাহলে আরও ক’টা দিন কাটিয়ে যেতে পারতেন। খন্যানের মিষ্টি খুব বিখ্যাত, শক্তিগড়ের ল্যাংচা আর বর্ধমানের সীতাভোগ- মিহিদানার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে।”
“আরে ভাই, আবার আসব। বোনের বন্ধুর রাজবাড়ি তো এখানেই।”
ভাগ্যিস শিখা ঠিকই করেছিল মায়ের সঙ্গে কয়েকটা দিন থাকবে, সুতরাং ওকে ফেলে যেতে রিনিতার কষ্ট হল না।
“তাড়াতাড়ি চলে আসিস, একসঙ্গে ব্যাঙ্গালোরে ফিরব।” দুই বন্ধু কিছুক্ষণ দু-জনে দু-জনকে জড়িয়ে রইল।
গাড়িতে এ নিয়ে কথা হল না। একেনবাবু কিছুটা পথ ঘুমোলেন, বাকিটা বোনের সঙ্গে নানান গল্প করতে করতে ফিরলেন।
কলকাতায় এসে পিসির বাড়িতে বিকেলের খাবার জাঁকিয়ে খেতে বসার আগে একেনবউদিকে ফোন করলেন। হোম ফ্রন্টে সব কিছু ঠিকঠাক। তেমন বিধ্বংসী ঝড় কলকাতায় হয়নি। একেনবাবু জানিয়ে দিলেন ডিনার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন। তারপর রিনিতার সঙ্গে কেসটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন।
“কী বুঝলে কানুদা, খুন না আত্মহত্যা।”
“তোর কী মনে হয়?”
“খুন, ওইভাবে কেউ আত্মহত্যা করে?”
“ইংরেজি ডিটেকটিভ বই একটু-আধটু পড়িস, এইভাবে আত্মহত্যার উদাহরণ পেয়ে যাবি। ক’বছর আগে অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস তো অমনি করেই গলায় দড়ি দিয়েছিল।”
“তার মানে আত্মহত্যা?”
“তা তো বলিনি।”
“আমার মনে হচ্ছে খুনই। কিন্তু কে খুন করেছে?”
“তুই-ই ভাব, কে লাভবান হতে পারে?”
“ঋদ্ধি?”
“কেন তোর বন্ধু হতে পারে না?”
“সম্পত্তির জন্য শিখা তেমন কেয়ার করে না।”
“আমার কিন্তু সেটা মনে হয়নি।”
“শিখা একা একা মোটেই খুন করতে পারত না, ওর গায়ের জোরে কুলোবে না!”
“দু-জনে মিলে তো করতে পারে— ভাই-বোন দু-জনে? বা মা-মেয়ে? বা মা-মেয়ে-ছেলে?”
“তাহলে বলছ মাসিমাও জড়িত থাকতে পারেন?”
“তাও পারেন, ঠেকাচ্ছে কে?”
“তুমি যত অ্যাবসার্ড কথা বলো!” রিনিতা অধৈর্য হয়ে উঠল।
“শোন, সত্যবাবুর বদলে যদি তুঙ্গনাথবাবু ওইভাবে মারা যেতেন, তাহলে কাকে সন্দেহ করতিস?”
“সত্য আর ঋদ্ধিকে। তুমি তো বলেছ সত্যও সম্পত্তির ভাগ পেতেন।“
“তা ঠিক, কিন্তু সত্যবাবুকে প্রমাণ করতে হত যে তিনি তুঙ্গনাথবাবুর পুত্র।”
“তাহলে তো শুধু ঋদ্ধি!”
“সেটা হওয়া কি অসম্ভব? ছেলে সম্পত্তির লোভে বাবাকে হত্যা করেছে — গাদা গাদা উদাহরণ আছে। বিশেষ করে ঋদ্ধি যখন জানত না তুঙ্গনাথবাবু ঘর পালটেছেন। হয়তো রাতের অন্ধকারে তুঙ্গনাথ ভেবে সত্যবাবুর গলায় বেল্ট লাগিয়ে হত্যা করেছে! ভুলটা ভাঙল সকালে তুঙ্গনাথ চেঁচামেচি করায়।”
“উফ, এত অদ্ভুত তোমার চিন্তাধারা!” রিনিতা অস্থির হয়ে বলল। ওর মনে আরেকটা সম্ভাবনা উঁকি দিল।
“আচ্ছা কানুদা বলো তো, তুঙ্গনাথবাবু তো ছুঁদে উকিল ছিলেন। উনি নিশ্চয় জানতেন বাবার সম্পত্তিতে অবৈধ সন্তানের অধিকার আছে, তাহলে ছেলের সম্পত্তিতে অবৈধ বাবার অধিকার থাকবে না কেন?”
“এটা দারুণ বলেছিস! এই তো বুদ্ধি খুলছে!” একেনবাবু বোনের পিঠ চাপড়ে দিলেন। “এমন কোনো আইন আছে কিনা জানি না, কিন্তু কোর্টে যুক্তিটা দাঁড়িয়ে যেতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, এরকম চান্স উনি নেবেন কি? যে চিঠিটা সত্যবাবু ক্যুরিয়ার করেছিলেন, সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। দেখা যাক!”
কথাগুলো বলে রিনিতার কানুদা, আমাদের একেনবাবু বাড়ি চলে গেলেন।
সারারাত রিনিতার ঘুম হল না। কাজের চিন্তা, শিখার চিন্তা, খুনির চিন্তা। ভোর না হতেই কানুদাকে ফোন করল।
একেনবাবু ঘুম থেকে উঠে সদ্য চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছেন। রিনিতার ফোন পেয়ে বললেন, “এত সকালে উঠেছিস কেন? আমার না হয় এখনও জেট ল্যাগ চলছে।”
“ঘুম হয়নি কানুদা, আত্মহত্যা না হলে সত্যকে খুন করল কে? কেন?”
“ওঃ বুঝেছি, নেশা লেগেছে। শোন, এক্ষুনি খন্যানের ওসি রমেনের মেসেজ পেলাম। তোকে বললাম না, সত্যের পাঠানো ওই চিঠিটাই হল গিঁঠ খোলার চাবি!”
রিনিতা বুঝল কানুদা উপমা গুলিয়েছে। যাক গে!
“বলো না কী হয়েছে!”
“ট্রেস করা গেছে চিঠিটা পাঠানো হয়েছিল রামপুরহাটের এক উকিল, মহম্মদ করিমের কাছে। ভদ্রলোক সত্যের মায়ের হয়ে আইনি কেস-টেস দেখতেন। ঝড়ের জন্যে চিঠিটা ক্যুরিয়ারের কাছে আটকে আছে, আজকালের মধ্যেই জায়গামতো পৌঁছোবে। তখন সব কিছু ক্লিয়ার হবে। পোড়া কাগজের ব্যাপারটাও বোঝা যাবে।”
“কী যে উলটোপালটা বলো কানুদা। পোড়া কাগজ আবার এল কোত্থেকে? সেটা সম্বন্ধে তো কিছু জানি না!”
একেনবাবু গুনগুন করে কবিতা আবৃত্তি আরম্ভ করলেন, “বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি’— দেশে দেশে কত শত খুন-রাহাজানি…”
“ধ্যাত, কানুদা এত হেঁয়ালি করো না!” রিনিতা ফোন রেখে দিল।
ঠিক তিন দিন পরে কানুদার ফোন, “এই যে মিস রিনিতা, কী হল শুনবেন?”
এ ক’দিন ঠান্ডা মাথায় রিনিতা কোনো কাজ করতে পারেনি। একেনবাবুর গলা শুনে উদগ্রীব হয়ে উঠল।
“বলো, বলো, কী হল বলো!”
“মহম্মদ করিমের কাছে পুলিশ পেয়েছে।”
“কী পেয়েছে, কানুদা!”
“সত্যবাবুর ক্যুরিয়ার করা চিঠি। সেটা কী জানিস— ওঁর উইলের খসড়া। নিজের মৃত্যুতে সব সম্পত্তির মালিকানা দিয়ে গেছে বাবাকে, মানে তুঙ্গনাথবাবুকে।”
“কী বলছ কানুদা! তাহলে কি সত্য আত্মহত্যাই করেছে? আর… উইলটা বৈধ?”
“পুলিশ সেটা করিম উকিলকে জিজ্ঞেস করেছে। উত্তর হল, হ্যাঁ, অবশ্যই। খসড়াটা পাকা আইনি বয়ান — অবশ্যই কোনো উকিলের খসড়া করা। জাফরউল্লা সত্যকামের হাতে লেখা। সঙ্গে চিঠিতে ওঁর প্রতি নির্দেশ দেওয়া আছে যা যা প্রয়োজন তা করে এই ইচ্ছাপত্র যেন রেজিস্ট্রি করা হয়।”
“তার মানে কি তুঙ্গনাথবাবু খুন করেছেন? সত্যর সম্পত্তির জন্য? সত্যর কি টাকাপয়সা আদৌ আছে?”
“বাঃ, এইটে ধরতে পেরেছিস। আসলে মায়ের দিক থেকে অজস্র সম্পত্তির মালিক সত্যবাবু। সেই টাকায় রাজবাড়ি সংরক্ষণ করে, সাজিয়েও পরম ঐশ্বর্যের মধ্যে বাকি জীবনটা কাটাতে পারবেন তুঙ্গনাথবাবু। লোভনীয় ব্যাপার! “
“একটা কমবয়সি ছেলেকে মারার মতো ওঁর শক্তি ছিল?”
“পোস্ট-মর্টেমে সত্যবাবুর শরীরে হেভি ডোজে মরফিন জাতীয় ঘুমের ওষুধ পাওয়া গেছে। সেটাও তুঙ্গনাথবাবুর কীর্তি নিশ্চয়ই। একটা ইয়ং ছেলেকে গলায় বেল্ট বেঁধে মারা সহজ নয়। অচেতন করে দিয়ে করতে হয়েছে।”
“আমি ভাবতে পারছি না। …তোমার সন্দেহ হল কেমন করে?”
“একটা ছেলে এসে বলল আমি তোমার সন্তান, আর তুঙ্গনাথবাবু মেনে নিলেন? উনি দুদে উকিল, এত কাঁচা কাজ করবেন না। তখনই কেমন শুঁড়গুলো খাড়া হয়ে উঠেছিল। উনি জানতেন সত্যের মায়ের বাড়ি ধনী। তারপর সত্যের কাছ থেকেও নিশ্চয়ই বিশদ জেনেছিলেন। তখনই সত্যের মৃত্যুর ছক কাটা হয়েছিল।”
“কিন্তু কানুদা, একজন কমবয়সি ছেলে, বাবার সঙ্গে এই প্রথম দেখা হচ্ছে। তাও এমন অদ্ভুত পরিস্থিতিতে। এত অল্প সময়ে নিজের সম্পত্তির ওয়ারিশ করে ফেলল একজন আধ-চেনা মানুষকে? কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।”
“ওদের নিজেদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল আমরা জানি না। তুঙ্গনাথ ধুরন্ধর ব্যক্তি। হয়তো ছেলেকে বোঝাতে পেরেছিলেন—ও যখন এত সম্পত্তির মালিক, ওর একটা উইল থাকা দরকার। হয়তো ছেলেকে বলেছিলেন তোমাকে আমার সম্পত্তি লিখে দিচ্ছি। আর ছেলেও পালটে বলল তাহলে আমিও ইচ্ছাপত্র লিখব। ছেলেটার তো আর কেউ ছিল না সদ্য আবিষ্কৃত বাবা ছাড়া! হয়তো ছেলেকে বুঝিয়েওছিলেন পরে বিয়ে-টিয়ে করার পর উইলটা বাতিল করতে। সেক্ষেত্রে নিজের স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের কাছে সম্পত্তি যাবে। সবই অনুমান।”
“কিন্তু কানুদা, তার কয়েক দিন আগেই তো তুঙ্গনাথবাবুর ওপর আক্রমণ হয়েছিল। সেটা কি কাকতালীয়?”
“না রে। সেটা তুঙ্গনাথবাবুর কীর্তি। গভীর জলের মাছ! পরে কী হবে চিন্তা করে নিজেকে সন্দেহের তালিকা থেকে সরাবার বন্দোবস্ত করেছিলেন। বাইরের কেউ যে ঢোকেনি তা ওখানে গিয়েই বুঝতে পেরেছিলাম। মশারির দড়ি দিয়ে কেউ খুন করে না।”
রিনিতা দাঁতে ঠোঁট চেপে ধরল। “সত্যি, শিখার জন্যে বড্ড খারাপ লাগছে। কী হল বলো তো! …আচ্ছা, ওই কাগজ পোড়া নিয়ে তুমি অত উত্তেজিত হয়েছিলে কেন?”
“ক্লু… ক্লু… বুঝলি! উকিলবাবুর কাছ থেকে জানা গেল উইলের যে খসড়া সত্যবাবু ওঁকে পাঠিয়েছেন তাতে কোনো ফাঁকফোকর নেই। একেবারে পাকা উকিলের মকশো করা। শুধু রেজিস্ট্রি করার ওয়াস্তা। অমন উইল লেখা সত্যবাবুর ক্ষমতার বাইরে। বোঝা যায় তুঙ্গনাথবাবু মুসাবিদা করে দিয়েছিলেন। সত্যবাবু সেটা নিজের হাতে লিখে উকিলকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আমার ধারণা নিজের লেখা সেই কাগজটাই তুঙ্গনাথবাবু পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। সেই পোড়া কাগজের ছাই সত্যবাবুর ঘরে দেখেছি।”
“কিন্তু সেটাই যথেষ্ট?”
“শুধু তা কেন, আরও আছে। সত্যবাবুর স্টমাকে যে স্লিপিং ট্যাবলেটের ট্রেস পাওয়া গেছে, সেটা তুঙ্গনাথের ওষুধ। গোপালকে দিয়ে ক’দিন আগে তুঙ্গনাথবাবু তিরিশটা ট্যাবলেট আনিয়েছিলেন। ওসি রমেন বলল মাত্র পনেরোটা দেরাজে পাওয়া গেছে। অতগুলো তো আর তুঙ্গনাথবাবু দু-তিন দিনে খেতে পারেন না! ওষুধের শিশি বা দেরাজে সত্যবাবুর কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই। …আসলে এই ঘুমের ওষুধ নিয়ে আমার একটা সন্দেহ ছিল, যার জন্য আমি রমেনকে স্টিল-এর দেরাজটা ভালো করে পরীক্ষা করতে বলেছিলাম।”
“কী নিয়ে সন্দেহ?”
“আমি যখন তুঙ্গনাথবাবুকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘আপনি কি রাতে জল খেয়েছিলেন?” তুঙ্গনাথবাবুর উত্তর, ‘না, কেন?” বললাম, ‘ঘরে জলের গ্লাসটা ফাঁকা ছিল বলে বলছি।” ‘তাই নাকি? কল্পনা হয়তো রাতে জল দিয়ে যায়নি। সবারই হস্টাইল অ্যাটিচুড ছিল সত্যর ওপর।” অথচ ভেবে দেখ, ঘরটা ছিল তুঙ্গনাথবাবুর। সুতরাং সেখানে জল না দেবার কোনো প্রশ্নই নেই। উনি শুধু ঘুমের ওষুধ জলে মেশাননি, কিছু একটা বুঝিয়ে সত্যবাবুকে সেটা খাইয়েও ছিলেন যাতে পরে গলায় বেল্ট জড়িয়ে মারতে পারেন। ফাঁস দিয়ে মৃত্যু বেশিরভাগ সময় আত্মহত্যা বলে চালানো যায়। এই তথ্যগুলোই ঠিকমতো সাজালে তুঙ্গনাথবাবুকে দোষী প্রমাণ করা কষ্টকর হবে না। তবে পুলিশ আরও ডিপ ইনভেস্টিগেশন চালাচ্ছে। আমার দায়িত্ব ছিল একটু গাইডেন্স দেওয়া। তা শেষ, আই অ্যাম ডান।”
“বড়ো মনখারাপ লাগছে, কানুদা। … তুঙ্গনাথবাবু এখন কোথায়?”
“একটু আগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।”
“ইসস, আর শিখা? দেখি, ওকে একটা ফোন করি।”