নোনাধরা ইঁটের দেওয়াল আর ইঁদুর টিকটিকি ও আরশুলাদের সঙ্গে সহাবস্থান,
একটা মৃত প্রজন্মের দিনলিপি।
জীবন্মৃত ফসিলের গায়ে লেপ্টে থাকা শ্যাওলা, প্রায় ভেঙে যাওয়া জং ধরা টিনের মনদরজা, মনে পরায় পায়েস-জন্মদিন বা তরুণতুর্কীর আদর্শ ।
ইতিহাস সহ্য করে না তার স্পর্ধা, ছিনিয়ে নিতে চায় তার স্বপ্ন যা আদর্শে গড়া, শিক্ষায় মোড়া একটা নিবন্ধ ।
সে শিখল কম্প্রোমাইজ শব্দের মানে যখন বিক্রি হয়ে গেল সহকর্মী বা যোদ্ধারা ঘোড়া কেনা বেচার হাটে।
পরিচিতদের অপরিচিত মুখ আর তার প্রশ্নের উত্তরে বিরক্তি প্রকাশ তাকে বুঝিয়েছিল সে আদৌ প্রাগম্যাটিক নয়, বরং সমাজের জঞ্জাল।
এটাই ক্ষমতার অলিন্দ।
শিক্ষা, ন্যায়, নীতি সব এক এক করে জড়ো করেছিল খুঁজে-খুঁজে হয়ত এক অমাবস্যা রাতের জ্যোৎস্নায়।
সেলিব্রেটি হলে হয়ত চান্স হত মাদাম তুঁসোর ঘরে,
তা হল না, কারণ সে আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত।
শুধু সমাজ জেনে গেল না শ্রদ্ধেয় ” বরুণ বিশ্বাস ” আজও বেঁচে আছে কিছু পাগলের বুকে ।
যারা থাকে প্রতিবাদের শব্দকে প্রতিষ্ঠা করতে ।।