গভীর রাতের নেশা চটে গেলে ভোরের হাওয়ায়
যুবক ধরায় সিগারেট, অলিগলি
পেরিয়ে হঠাৎ কী-যে মনে এলো তার, ঢুকে পড়ে
খানকা শরীফে,
যেখানে লোবান পোড়ে, জ্বলে সুগন্ধি আগরবাতি
দিনরাত, ব’সে অনেকের সঙ্গে এক কোণে সময় কাটায়।
এওতো খোঁয়ারি এক, ভাবে সে যুবক
শীতল দেয়ালে দিয়ে ঠেস, এখনও নিজেকে লাগে
কী ভীষণ ফাঁপা আর ফাঁকা। তাহ’লে কোথায়
খুঁজব মনের মুক্তি-এই প্রশ্ন পাখির মতোই
ঠোকরায় তাকে বারবার; জিজ্ঞাসু, অস্থির যুবা
ছায়াচ্ছন্ন খানকা শরীফ ছেড়ে রোদালো রাস্তায় উঠে আসে।
পথে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত শরীরে যুবক
কতিপয় লম্বা চুল দাড়ি গোঁফধারী
কেমন মস্তিতে চুল লোকের উন্মুক্ত আস্তানায়
যোগ দেয় ভক্তির তন্ময়তায় ম’জে, ওদের জিকির চোরা টানে
তাকে এ ভবের হাট থেকে কোথায় ভাসিয়ে
নিয়ে যায়, বোঝে না সে কিছুই ব্যাপক ধোঁয়াশায়!
জিকির নিস্তব্ধ হ’লে ছিলিমের ধোঁয়ার সুতীব্র গন্ধে ফের
যুবকের সিগারেট ধরাবার ইচ্ছা জেগে ওঠে
ছায়াঢাকা বটমূলে। উজাড় পকেট,
ছিলিমে দেবে কি টান? এখানে কি মনের মানুষ
আছে কোনওখানে-যুবা প্রশ্ন করে মনে মনে আর
নিজেকেই লাগে পুনরায় বড় শূন্য, বড় ফাঁপা।
অনন্তর আস্তানায় ধোঁয়াজাল ছিঁড়ে
যুবক আশ্রয় নেয় শহরের নিভৃত উদ্যানে; পুরু ঘাসে
মাথা রাখে, গোধূলি বুলায় হাত ওর
অশান্ত মাথায়, হাওয়া চুলে বিলি কাটে, ভেসে আসে
ফুলের সুঘ্রাণ, যুবকের মন মুক্তির সন্ধান পেয়ে যায়
কবিতায়, নারীর হৃদয়ে আর মানুষের আনন্দমেলায়