স্পর্শ করিনি মমতায়!
তাই ফিরিয়ে দিয়েছে খালি হাতে
ভিক্ষুকের মতো।
কেউ নেয়নি। বৃক্ষ নয়। বনভূমি নয়। ঝর্ণা
শিথিল জলের নীৰিবন্ধ খুলে শুধু বলেছে নিষেধ!
স্পর্শ করিনি তাই ‘মা নিষাদ’ পক্ষী প্রেমিকার
মাংসে বিধে পড়া পীড়নের শেষ তূন
থামাতে পারিনি।
অগ্নি শুদ্ধ হতে হতে শুদ্ধির সমস্ত
স্বর্গে নরকের আগুন লেগেছে!
স্পর্শ করিনি। তাই রাবণের বংশধর এত বেশী
এত হুলস্থুল তর্ক গোলাপে গাভীতে
বুঝিনিও। তাই মেঘে ঐরাবত শুঁড় তুলে
প্লাবনের জলের ভিতর মৃত্যু, পিচকিরীর মতো
ঢেলে এখন উধাও।
বেশ্যার বেদনাবোধ বুকে ঢেলে কাঁদছে কামুক!
চাঁদের ভিতর এতো জ্যোৎস্নার চাঁদোয়া টানা,
তবু নেই খঞ্জনীর গান!
সারারাত ভূতের উৎপাত, কবন্ধ গলির কাটা
লাশের উপর যুথচারী বেকারের হু হু কান্না!
এই সব, এই সব, এই সব মর্মজ্ঞান শুধু!
কে তোমাকে বলেছিল এত বৃক্ষ ব্যয় করে
অবশেষে অনল কুসুমে হাত লোভীর মনে রাখতে?
আমাদের শ্রাদ্ধের বাগান-এ এতো সবুজ পাতার
সিংহাসন জুড়ে বসতে কে তোমাকে ডেকেছিল?
উপনিষদের সেই পাখিকেও হার মানালে হে!
কবিদেরও! তাদের রুমালে তোলা অধুনা আলোর শিল্প
তোমার দ্যুতির কাছে বারবার হেরে যায়!
তোমার শুদ্ধির কাছে দেবতার ঋণ বাড়ে
অসুর পালায়।
শুধু এই নষ্ট জমি তোমাকে তোলেনা ধর্ম,
শস্যক্ষেত, বৃক্ষভূমি, মাটি ও মৃত্তিকা আজ
মরিতেছে অবক্ষয়ে ঘুণ ধরিতেছে।