জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে, ভূ-মণ্ডল জুড়ে,
বিসমিল্লা খাঁর সানাইয়ের সুরে,
ব্রাহ্ম মুহূর্তে আলোর স্তবগানে
পিতৃপক্ষের অবসানে দেবী দুর্গার আগমন,
কাঁচা দুধের মতো ভোরের সাদা আলোয়
নীরব রোদনে পিতৃতর্পণে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কী সুন্দর তুমি—
তোমার মুখ থেকে চোখ ফেরানো যায় না,
তবুও তোমার উদাসী চক্ষুদ্বয়ে বিপুল শূন্যতা,
অস্পষ্ট ভিড়ে হাঁটতে হাঁটতে; তোমার কথাই ভাবছি,
তোমার বেদনার্ত মুখ বার বার দৃশ্যপটে ভেসে ওঠে
অবোধ্য ঠেকে আমার মতোই অনেকের-
মানুষের ছা-পোষা সংসারে,অনিশ্চিতের নাগরদোলা—
“ধুলোর সংসারে বসে যে সকল নিঃসম্বল পার্বতী ও পরমেশ্বর”
নিত্যনৈমিত্তিক অবসন্ন মন আশায় থাকে
ভরন্ত ফসলের ক্ষেত আর দুমুঠো অন্নের–
ছেঁড়া আঁচলে আঁকা থাকে
জ্যোৎস্নার বিবর্ণ আলো,
তোমার লক্ষ টাকার সোনার আঁচল
….কিছুটা ছন্নছাড়া…
‘আমাদের প্রাত্যহিকতার দিনরাত
ভূলুণ্ঠিত ঘাতকের আস্তানায়’
মানবিক কমলবন তছনছ
তোমার কমণ্ডলু ভরে আছে হাহাকারে,
প্রতিটি রুদ্রাক্ষে কতকালের যন্ত্রণার বিন্দু বিন্দু অশ্রু
অসহায়, অত্যন্ত বিব্রত আমাদের আগামী—
ঘুণে কাটা সচিত্র জীবনী।
মৃণ্ময়ী কী চিন্ময়ী তুমি, সে প্রশ্ন আজ তোলাই থাক
আমাদের হতশ্রী জীবনে আঁজলাভরা
কিছু অমল ধবল পালতোলা স্বপ্ন দিও এঁকে,
শরতের নীলের মত মুঠো মুঠো শান্তির বার্তায়
উৎসবের শীতলপাটি দেব বিছিয়ে—